আদিল মাহমুদ- ওসি (তদন্ত) পরশুরাম মডেল থানা,ফেনীঃ
“অর্পনা”অতি সুন্দরী,রূপবতী জায়া,
স্বামী তার সহজ সরল হতভাগা!
ভালবাসতো বউকে পাগলের মতো,
সন্তান ছিলনা তাদের বিয়ে হয়েছে,
চার বৎসর পূর্বেই তাদের সংসার।
বোকাদের মতো বাসতো মতি ভার্যাকে,
প্রতিদিন বাজারে গিয়ে আনিত ফুল,
বোকা ছিল মতি শুধু বুঝত অর্পনা,
ভাবেনি কখনোই মনে ছিল ছলনা।
পাশের বাড়ির কালাম ছিল আত্মীয়,
মাঝে মধ্যে আসিত ঘরে দেখার ছলে,
কার মনে কি ছিল কেহ জানে না,
জানে সৃষ্টিকর্তা, বুঝে কার মনে কি কল্পনা!
আসা যাওয়া হতে থাকে সময় পার,
এরি মাঝে কালাম হয়ে যায় লম্পট,
বোকা স্বামী মতি অতিব সহজ এবং সরল,
করিত বিশ্বাস দারা ধার্মিক।
কিন্তু পরে কালামের যন্ত্রনায় হয়ে উঠে ব্যভিচারী,
নতুন করে সম্পর্ক,
গড়ে তুলে অর্পনা কালামের মাধ্যমে হতভাগা কিছুই বুঝিল না ছলনা।
মাঝে মধ্যে কালাম ঘরে আসিলে বলে,
বাজারে যাও একটি নাস্তা নিয়ে আও,
মতি বোকা জানে অর্পনা,
মতি জানেনা, স্ত্রীকে ভালবাসা মতি,
বুঝেনা ভৎসনা!
আদরের বধূ বলেছে আনতে হবে নাস্তা,
দৌঁড়ে যায় হাঁটে নিয়ে আসে খাস্তা,
এরই মাঝে কালাম ও অর্পনা কাছা কাছি জড়িয়ে ধরে বসা,
মতিকে ধোঁকা,
বলে কালামকে দূরে গিয়ে বসা ভালা।
বোকা হলেও বুঝে বউয়ের দরদ,
মাঝে মধ্যে বলে উঠে তোকে ভালবাসি।
ভন্ড কালাম বুঝে নেয় মতি যন্ত্রনা,
তাই মতির অগোচরে বলে ললনা,
আমি তোমায় ভালবাসি নহে ছলনা,
মেয়েদের মন অতি নরম বুঝেনা,
এভাবেই গড়ে উঠে গভীর প্রেরণা।
কালামের বউ ছিল, আপন সন্তান,
পাশাপাশি অর্পণা হইল অন্তঃসত্তা,
বুঝার নাহি উপায় সন্তান কাহার,
বোকা মতি ভাবে সন্তান তার নিজের,
পাঁচ মাসের গর্ভবতী প্রিয় নয়না।
খুঁশিতে মতির আদর পড়ে বউতে,
আত্মহারা সে সন্তান আসিবে ভেবে যে,
কালাম বুঝে ফেলে অন্তঃসত্তা কিভাবে!
তাই দুইজনে চিন্তা করে সংগোপনে,
অসহায় কালাম চিন্তা করে নিঝুমে,
কালামকে পছন্দ করেনা মনে প্রাণে,
এদিকে ফন্দি আঁটে কালাম এই ভেবে,
যদি মতি বেঁচে থাকে এই পৃথিবীতে,
পাবেনা সে অর্পনাকে চিরতরে ভোগে!
তাই ছল চাতুরে বুঝাতে থাকে মনে,
তোকে ছাড়া বাঁচবনা সুন্দর ভুবনে।
কিছুটা স্বামী ভক্ত কিছুটা পরকীয়া,
বিপদে পড়ে নিবৃতে স্থির করতে না পারে মনখুলে,
ভাবে যে সে কি করিবে!
কিন্তু নাছর বান্দা কালাম বুঝাইল অর্পনাকে,
মতি বাঁচিয়া থাকিলে ক্ষনে পড়তে হবে বিপদে,
ফলে রাজি করে,
গোপনে আটিল ফন্দি,
মারিতে হইবে সহজ সরল মতি,
ভাড়াটিয়া রাখে,
পনেরশ টাকার বিনীময়ে গোপনে,
বোকা মতি কিছুই পারে নাই বুঝিতে।
একদিন গভীর রাতে কালাম আসে,
মৃদু টোকা দেয় ঘরে অর্পনা তা বুঝে,
দরজাটা দেয় খুলে মতি থাকে ঘুমে,
মতির বউ অর্পনা রাজি হয় মোহে।
দুই বন্ধু সহ তিন জন ঢুকে ঘরে,
অর্পনা তাকিয়ে থাকে, ওরা তিন জনে,
মুখ চেপে নিয়ে যায় হাত মাথা ধরে,
অর্ধ কি: মি” দূরে নদীর পাড়ে বাগানে।
সেখানে ছিল সারি সারি আখের গাছ,
ততোক্ষনে মতি ঝাপটা ঝাপটি করে,
ক্ষেতের মধ্যেই মতির বুকে কালাম হাত,
পা ধরে বাকী দু’জনে সংগোপনে নাইলন সুতা আগেই ছিল প্রস্তুত,
তাই দিয়ে মতির গলা পেছিয়ে দেয়,
দুই দিক দিয়ে টানে দুই হাতে প্রাণ পনে,
বোকা মতি কিছু বুঝার আগেই প্রাণ যায় চলে উর্ধ্বব আকাশে চেপে।