|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
আমরা কি এখন হার্ড ইমিউনিটিতে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে যাচ্ছি- লেখকঃ আবু হায়াত নুরুন্নবী
প্রকাশের তারিখঃ ৩১ মে, ২০২০
মোঃ ইলিয়াস আলী, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ আমরা কি এখন হার্ড ইমিউনিটি যাওয়ার ঝুঁকি নিতে যা্চ্ছি লিখেছেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হায়াত নুরুন্নবী ৷ হার্ড ইমিউনিটি হচ্ছে এক ধরনের ‘কমিউনিটি ইমিউনিটি’, যখন সমাজের অনেক বেশি জনগোষ্ঠীর মাঝে কোনো সংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। ফলে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই কিংবা দুর্বল, তাদেরও ওই রোগ হতে পরোক্ষভাবে সুরক্ষা দেয়া যায়। আর এটা হয় জনসংখ্যার বিরাট অংশ আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠার পর তাদের মাঝে এন্টিবডি তৈরী হয়ে। আমরা এমনিতেও অনেক বেশি ঝুঁকিতেই আছি, ঘনবসতি পূর্ণ জনসংখ্যার দূর্বল একটি অর্থনীতির দেশ, সেই সাথে আছে স্বাস্থবিধি মেনে না চলার প্রবল প্রবনতা!! লকডাউন অবস্থায় সেই চিত্রই আমাদের চোখের সামনে উঠে এসেছে। তাতে কোভিড১৯ এর মত ছোঁয়াচে ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের ঝুঁকিতে আমরা এমনিতেও ছিলাম ও আছি। সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানিতে আমাদের দেশের মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকায় আমরা এই মহামারী তে কিছুটা হলেও এখন পর্যন্ত ভাল আছি। হার্ড ইউমিনিটির কারনে বলি আর জীবন জীবিকার প্রয়োজনে চলা শুরু করা বলি, এটাকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখতে চাই। কারন করোনা আমাদের জীবন থেকে খুব সহজে বা দ্রুত চলে যাচ্ছে না এটা আমাদের সবারই জানা। পৃথিবীর কেউ এমন আশাও করা না যে, ঘুম থেকে উঠে শুনবে কোভিড১৯ পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে গেছে। সবকিছু খুলে দেওয়া হচ্ছে এটা নিয়ে আতংকিত না হয়ে ইতিবাচক হই। জীবন জীবিকার কারনেই হোক আর হার্ড ইউমিনিটির দিকে যাওয়াই হোক, আমরা কিন্তু চলতে শুরু করেছি। লকডাউন কালিন সময়ে আমাদের দূর্বলতা গুলি কিন্তু সবার সামনে স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে। তাই ভুল গুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে সাবধান হওয়ার সুযোগ আছে আমাদের। যেমন কাজে বের হলে, হাতে বেশি করে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সাথে নিয়ে বের হওয়া। যার সাথে কথা বলছেন বা যার কাছে কাজে গেছেন তার মাস্ক পরা না থাকলে, দূরত্ব বজায় রেখে প্রথমে তাকে মাস্ক পরতে দেওয়া, পরতে না চাইলে বাধ্য করা এবং সেই সাথে তার হাত স্যানিটাইজ করিয়ে নেওয়া। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমবে এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়বে। সার্বিক নিরাপত্তা গুলি মেনে নিয়ে এই নিউ লাইফ স্টাইল গ্রহন করেই চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি গুলির উপর যত্নশীল হতে হবে, মেনে চলতে হবে মানাতে হবে সবাই কে, এই সামাজিক আন্দোলন তৈরী করতে হবে। এই নতুন লাইফ স্টাইল এডপ্ট করেই প্রয়োজন কে চ্যালেঞ্জ হিসাবেই নিতে হবে। জীবন বাঁচাতে চ্যালেঞ্জ ছাড়া উপায় নেই। সম্ভবনা আর আশাজাগানিয়া নিউজ গুলি বেশি দেখতে হবে এতে মনোবল বাড়বে, লড়াইয়ের ইচ্ছা ও শক্তি দুটোই জাগবে। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন সবাই। অসুস্থ পৃথিবী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে আমাদের সকলের কামনা।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.