|| ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
নিহত শাহিদার স্বামীর বাড়িতে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে নান্দাইলের ইউএনও সুজন- দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৬ মে, ২০২০
ফরিদ মিয়া নান্দাইল ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: অনেক আশা-ভরসা ও বেদনায় ভরা বুক নিয়ে হঠাৎ সড়ক দূর্ঘটনায় শাহিদা (৪০) এর নিহতের খবর সোস্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় খবর ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি সর্বমহলে ব্যাপক আলোচিত হয়। এ বিষয়টি নিয়ে খুবই দু:খ প্রকাশ করেন নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সুজন। মঙ্গলবার তিনি নিহত শাহিদার স্বামীর বাড়িতে পৌছে পরিবারের সাথে সাক্ষাত করেন। এসময় তিনি চাল, ডাল, তেল, আলু, চিনি ইত্যাদি খাদ্য দ্রব্যের সমন্বয়ের দুই বস্তা ত্রাণ বিতরণ সহ উক্ত পরিবারে নগদ ১ হাজার টাকা অর্থ প্রদান করেন। পরিদর্শনকালে তিনি দেখতে পান শাহিদার চুপড়ি ঘরটি খুবই নাজুক অবস্থা দেখে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জমি আছে, ঘর নাই’ আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করে দেবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ৭ সন্তানের জননী নিহত শাহিদা ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের আল আমিনের স্ত্রী। আল আমিন পেশায় একজন রিক্সাচালক। দেশে করোনা ভাইরাস জনিত কারনে কর্মহীন হয়ে পড়ায় সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছিলো। আল আমিনের স্ত্রী (নিহত শাহিদা) অন্যের বাসা বাড়িতে কাজ করতো। একপর্যায়ে ২২মে/২০২০ইং পরিবারের সদস্যদের মুখে দু-মুঠো খাবার তুলে দিতে বাড়ি আসার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয় শাহিদা। শুধু তাই নয় মৃত্যুর পূর্বে কয়েকদিন আগে স্থানীয় এক লোকের ফেসুবকে একটি ভিডিও বার্তায় শাহিদা জানান,তার পরিবার কোন ধরনের ত্রাণ/সহযোগীতা পায়নি। নিহত শাহিদা ও স্বামী আলআমিন তারা নান্দাইলের স্থায়ী বাসিন্দা। মঙ্গলবার পরির্দশনকালে ইউএনও দেখতে পান তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) কার্ডে নান্দাইল উপজেলার বাসিন্দা একথার উল্লেখ নেই। তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার উক্ত পরিবারকে এনআইডি কার্ড সংশোধন করার কথা বলেন। তবে এলাকাবাসী জানায়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা খোজঁখবর না নেওয়ায় খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছিল শাহিদার পরিবার। তবে এ বিষয়ে অত্র ইউপি’র জনপ্রতিনিধিগণ দায় এড়িয়ে চলেন। এ ব্যাপারে ইউএনও মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সুজন বলেন, “ত্রাণের কার্যক্রমে শাহিদা বা তার স্বামীর নাম কোন তালিকায় উঠে আসেনি বা কেউ আমাকে অবহিতও করেনি। তবে আশা করছি, জাতীয় পরিচয় পত্র ঠিক করা হলে সরকারের সামাজিক নিরপত্তার সব ধরনের সহযোগীতা পাবে উক্ত পরিবার। এছাড়া শাহিদার সন্তানদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগীতা প্রদান করা হবে।”
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.