|| ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
“চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ঘূর্নিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় প্রস্তুত উপজেলা প্রশাসন- দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২০ মে, ২০২০
মাহমুদুল হাচান,চট্রগ্রাম : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্নিঝড় আম্ফানের আঘাতে সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আমফান ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করার সময় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে৷ সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে৷ এদিকে, সাগরে যখন ঘূর্ণিবায়ু পাক খাচ্ছে, ঢাকা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, মাইজদীকোর্ট, ফেনী, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় তখন মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে৷ আমফানের জন্য সব রকমের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে স্থানীয় প্রশাসন। ২২ টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম মজুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছেন উপজেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের প্রায় ৫০১ জন ভলান্টিয়ার ও স্কাউট সদস্যসহ স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা ও ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স টিম। ঘূর্নিঝড় আম্পানে নদীর তীরবর্তী ইউনিয়নের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা বেশী থাকায় ওই সব ইউনিয়নের প্রতি বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় গঠন করা হয়েছে ৫ টি মেডিকেল টিম। প্রয়োজনীয় ঔষধ, স্যালাইন, সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি সংরক্ষণের ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো সবুজ বলেন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে স্থানীয় ব্যক্তিরা যাতে আশ্রয় নিতে পারেন, সে জন্য ২২টি সাইক্লোন শেল্টার কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ পরিস্থিতে সার্বক্ষনিকভাবে তদারকি করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে।
দুর্যোগকালীন সময় ক্ষয়ক্ষতি বা খাদ্য সংকট দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৭১৬-৮২১০৬৭ বা ০১৮১৪-০৭১১৬৭ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার বলেন, ঘূর্নিঝড় আম্ফানের আঘাত মোকাবিলা করার জন্য উপজেলা প্রশাসন সম্পূর্নভাবে প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে ১০ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১৫৫ টি গ্রামের জন্য ৫ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সার্বিকভাবে দেখাশুনার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা রয়েছে ফায়ার সার্ভিসও। তাছাড়া স্ব-স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে সার্বিকভাবে তদারকি করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.