আকাশ সরকার,রাজশাহী ব্যুরোঃ কর্মহীন সময়টা যেন দীর্ঘ না হয় সেটাই প্রত্যাশা। ক্ষমতা, অহংকার, অর্থসম্পদ যে কতটা অর্থহীন বুঝিয়ে দিয়েছে অদৃশ্য ক্ষুদ্র এক ভাইরাস করোনা। দুনিয়াবাসীকে ঘরবন্দী হতে বাধ্য করেছে। অন্যান্য প্রানীকুল এখন বাহিরে নিরাপদে, আর মানুষ এখন ঘরে নিরাপদে। করোনা মোকাবেলায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশ লকডাউনে (অবরুদ্ধ করা) গেছে। আমরাও সেই পথ ধরেছি। কিন্তু আমাদের দেশে এখনই লকডাউন তুলে নেওয়া কতটা সঠিক হচ্ছে বা এখনই কতটা শিথিল করা যাবে এই প্রশ্নগুলোর জবাব খুঁজা জরুরী। তথ্য উপাত্ত ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপর দাড়িয়ে বিষয় গুলো বিবেচনা আমরা করব। প্রথম অাক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার ৫০ তম দিন পার হওয়ার পর দেশের সার্বিক চিত্র যা তাতে নিরুদ্বেগ থাকা যাচ্ছে না। গতকাল বেসরকারি টেলিভিশনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ এ.বি.এম অাব্দুল্লাহ, অধ্যাপক ডাঃ সাইফ উল্লাহ মুন্সি সহ আরো অনেকে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে তাড়াহুড়ো করে প্রায় ১০০০ গার্মেন্টস গুলো খুলে শ্রমিকদের কে বিভিন্ন জেলা থেকে ডেকে এনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কারখানা গুলো চালু করায় বিশেষজ্ঞগণ বলেন এটি একটি অাত্নঘাতী সিদ্ধান্ত হয়েছে। কথা ছিলো সীমিত আকারে কিছু গার্মেন্টস খুলে দেওয়ার। এতে করে ভয়াবহ ভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার অাশংঙ্খা মধ্যে পড়লে দেশ। সরকারের নিয়মনীতি মানছে না কারনটা হচ্ছে বানিজ্যমন্ত্রী, ঢাকার মেয়র, ঢাকার নবাগত এমপি সহ ক্ষমতাধর ব্যক্তিরাই হচ্ছে গার্মেন্টসের মালিক। এই বিত্তশালীরা টাকাকেই শুধু মূল্যায়ান করলো, এদের মধ্যে মানবিক ও মানবতা বলতে কিছুই নাই। এদিকে করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষক ডঃ হাসিনা খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তিনি জানিয়েছেন ভাইরাসটি প্রতিনিয়ত তার রুপ বদলাচ্ছে উৎযোগ নেই বাংলাদেশে। এদিকে ৭২৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী অাক্রান্ত হয়েছে তারমধ্যে একজন চিকিৎসক , এক সাংবাদিক, একজন পুলিশ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুবরন করেছে এতে আমরা শোকাহত। গতকাল বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন মে মাস জুড়ে এই ভাইরাসে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ অাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণ মানুষের ধারনা জন্মেছে যে বাংলাদেশের বহু মানুষ অাক্রান্ত হতে পারে। এদেশের জনঘনত্ব বেশি মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতাও কম। এদিকে গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন দেশে করোনা অবস্থা ভালো। এদেশের নাগরিক হিসাবে এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য আমি প্রত্যাখান করছি ওনি মিথ্যাচার করছেন। গতকাল বুধবার দেশে ২৪ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৬৪১ জন রোগীর দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে এবং ৮জনের মৃত্যু সহ মোট ১৬৩ জন মৃত্যুবরন করেছে। এটাই কি প্রতীয়মান হয় না যে? তাহলে আমরা কি করে বলতে পারি যে অামরা এই অজানা রোগ করোনা থেকে ভালো আছি? প্রসংঙ্গত নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপের মৃত্যু সংখ্যা এখন পর্যন্ত জিরো (০০) এবং তারা লকডাউনে নিরাপদে ঘরে অবস্থান করছে তারা। আমরা অনুরোধ জানাই দেশের মানুষের নিকট যেহেতু আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে অব্যবস্থাপনায় রয়েছে আর করোনা ভাইরাসের এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কোথাও ঔষধ অাবিষ্কৃত হয়নি। সুতরাং আমাদেরকে আল্লাহ পাক, ভগবান,ঈশ্বর,মহাপ্রভু কে স্বরন করে ইবাদত ও প্রার্থনা করার জন্য নিজ বাসায় মনোযোগী হয় বেশি করে। যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিনি নিজেই দেশের সব ধর্মের মানুষের প্রতি ঘরে বসে ইবাদত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। পূর্নরায় আবার স্বরণ করিয়ে দেয় এই ভয়ংকর ভাইরাসে মৃত্যু হলে নিজের আত্নীয়-স্বজনরা জানাযা ও দাফনে এমনকি শ্মশানে শেষকৃত করার জন্য স্বজনদের কোন উপস্থিতি হচ্ছে না ভয়ে। এদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেকের ক্ষেত্রেই প্রণোদনা ঘোষনা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি নিজেও সাংবাদিকবান্ধব মানুষ বর্তমানে সাংবাদিকরা এই ভাইরাসের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে দিন রাত ধরে দেশের জন্য কাজ করছেন আপনার প্রতি আমার অনুরোধ সাংবাদিকদের কেও প্রণোদনা দিয়ে কাজে উৎসাহিত করবেন এই আমার প্রানের দাবি। কষ্ট করে হলেও মে জুড়ে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন, ঘরে নিরাপদে থাকুন, নিজে বাঁচুন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান সকলে সরকারি নিয়মনীতি ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলি। বেঁচে থাকলে এই সুন্দর পৃথিবীতে আবারো দেখা হবে আমাদের।