|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
রাজশাহী বাগমারায় এানের চাল পেল রাইস মিল মালিক – দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৮ এপ্রিল, ২০২০
আকাশ সরকার রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীর বাগমারায় অভাবীদের বঞ্চিত করে ধনীদের মাঝে ত্রাণের চাল বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে এই অনিয়েমের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। তারা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান অভাবী দিনমজুর, ভ্যানচালক ও বিধবাদের বঞ্চিত করে স্বজনপ্রীতি করে সম্পদশালীদের মাঝে ত্রাণের চাল বিতরণ করেছেন। এ তালিকায় আছেন রাইস মিল মালিক, পান ও মৎস্য ব্যবসায়ীসহ বেশ কয়েকজন সম্পদশালী ব্যক্তি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জাহিদুল ইসলামের রয়েছে পানবরজ, পুকুর ও রাইস মিল। ৮ বিঘা সম্পত্তি থাকার পরও তিনি পেয়েছেন ত্রাণের চাল। ওই ইউনিয়নের রামরামা গ্রামের মমতাজ বেগমের রয়েছে ৩টি ট্রাক। একই এলাকার মুক্তা বেগমের স্বামী সিঙ্গাপুর প্রবাসী। আব্দুল কুদ্দুসের জমিজমাও রয়েছে যথেষ্ট। তারা সবাই ত্রাণের চাল পেয়েছেন। চন্দ্রপুর গ্রামের আমির আলী, হাতেম আলী, নাসেরের মতো লাখোপতিরাও আছেন এ তালিকায়। এদিকে ত্রাণের চাল থেকে অনেক অভাবী-বিধবা বঞ্চিত হয়েছেন। এ তালিকায় আছেন, চন্দ্রপুর গ্রামের ভ্যানচালক জুয়েল, মর্জিনা বেওয়া, আমেনা বিবি, রেজিয়া বেওয়া, মনোয়ারা বিবি, আব্দুল খালেক, সাজেদা বিবি, শরিফা বেওয়া, মনি মন্ডল, সেলিনা বিবি, জাহেদা বেওয়া। চেউখালী গ্রামের ষাটোর্ধ বৃদ্ধা সুরুতজান বেওয়া ও তার মেয়ে মালেকা বেগম সরকারী ত্রাণ পাননি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তিনবার সরকারী ত্রাণ বিতরণ করা হলেও এই দুই অসহায়কে কোন ত্রান দেয়া হয়নি। সুরুতজান বেওয়া বলেন, 'স্বামি আছে, কব্বরে। আল্লাহ কিছু দিলে খায়, না দিলে না খায়। খাইয়্যা না খাইয়্যাই দিন কেটে যায়। তার বিধবা মেয়ে মালেকা বেগম বলেন, একজনের বাড়ি থেকে ৫ কেজি চাল হাউলাত (ধার) নিয়েছিলাম। খাইয়্যা ফুরিয়ে গেছে, দিতেই পারিনি। ৭নং ওয়ার্ডের চেউখালি গ্রামের মুনছুর আলী, মালেকা বিবি, শরিফা বিবি, আলেয়া বেওয়া, ১নং ওয়ার্ডের পারুল বিবি, রায়হান, আকবর, কালাম, হেলাল, আয়জান বিবিসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের হাজারো মানুষ ১০টাকা কেজি ত্রাণের চাল পাননি। এসব অনিয়মের বিষয়ে অভিযুক্ত গোয়ালকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, নিয়ম মেনেই চাল বিতরণ করা হয়েছে। কোনো অনিয়ম হয়নি।তবে তালিকা ইউনিয়নের সদস্যদের সাথে নিয়ে করা হয়েছে। এতবড় ইউনিয়নে দু'একজন ছাড়া পড়তেই পারে। এবিষয়ে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মদ জানান, ত্রাণ নিয়ে কেউ অনিয়ম করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে গোয়ালকান্দি ইউনিয়নে অনিয়মের অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.