|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
করোনা ভাইরাস সংক্রমণে গোটা প্রথিবী আজ থেমে গেছে বললেন জামাত খাঁন : দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৪ মার্চ, ২০২০
আকাশ সরকার রাজশাহী ব্যুরোঃ
পৃথিবী সত্যি আজ থমকে গেছে।
দেরীতে হলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দিতে অবশেষে দেশের শেষ সম্বল অামাদের অহংকার ও অাস্থার প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে তলব করলেন অদম্য সাহসিকতায় এগিয়ে যাওয়া নারী, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তারপরও যেন অামরা দেশের মানুষ এখনো করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সচেতন হচ্ছি না। যেমন অাজকের দুপুর ১২টার সময় নগরীর ব্যস্ততম এলাকা শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান চত্ত্বর এলাকার পূর্বের দিনের মতই একই চিত্র বিরাজমান। কোন ভাবেই এর প্রভাব পড়ে নি রাজশাহীতে।এখনো দেশের সব হাসপাতাল প্রস্তুত নয়। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী সল্পতা অাছে, ভেন্টিলেশন, অাইসিইউর ঘাটতি রয়েছে। অারো যারা করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি নিয়ে মাঠে কাজ করছেন যেমন সাংবাদিক, পরিছন্নকর্মী, পুলিশ সহ অারো যারা জরুরি কাজে নিয়োজিত অাছে তাদের জন্য পিপিই ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি প্রয়োজন। সাথে সাথে সচেতনতা বৃদ্ধি সহ সকলকে রাষ্ট্রীয় অাইন মেনে চলার পাশাপাশি যারা টিভি টকশো সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিরা আছেন দয়া করে অাল্লাহর দোহায় উল্টা পাল্টা কথা বলা বিরত থাকুন এবং দেশের মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না।যেমনটা বলা যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অনেক লক্ষ্য করছি কিন্তু আমরা মন্ত্রী সহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকরা বিভ্রান্তিমূলক যে তথ্য গুলো প্রকাশ করেছেন এটা কোন ভাবেই এসময় কাম্য নয়। সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য বানিয়েছেন উচিত ছিল ১মাস অাগেই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়গুলোকে নিয়ে সমন্বয় করে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা করা। যেমনটি গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর ইউএনওর সিদ্ধান্ত ডিসি মানছেন না, সিভিল সার্জন নিজেই তার পরিবারের সদস্যের বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত। অতিরিক্ত জনবল নিয়ে সচেতনতার লিফলেট ও মাস্ক প্রদান থেকে বিরত থাকুন রাষ্টীয় অনুশাসন মেনে জনগনকে এগুলো বিতরন করেন, সাহায্য করুন ও সচেতন করেন। অাজ দেশে সমন্বয় না থাকার কারনে প্রশাসনের কর্মব্যক্তিরা এত অাত্নকেন্দ্রীক ও অহংকার সাধারন মানুষ তাদের কাছে যেতে ভয় পাই। দেশ তো চালায় এই অামলারা রাজনীতিবিদ না। রাজনীতিবিদদের দূর্বলতার ও দূর্বৃত্তের কারনে অাজ অামাদের এই পরিস্থিতি। যেমন বলা যেতেই পারে ভিসি,ডিসি,ওসি, তারা যেভাবে চালাই রাজনীতিবিদরা সেভাবেই চলে। তা নাহলে কি ভাবে সম্ভব দেশের বড় চেয়ারে বসে কোন এক ব্যক্তিকে সন্তুষ্ট করার জন্য মহান রাব্বুল আলামীনকেও চ্যালেন্জ ছুড়ে দিচ্ছে। এখনোও অামরা এই সম্পর্কে সচেতন হচ্ছি না যেখানে অন্য রাষ্ট্রগুলো তাদের কার্যক্রমে "লকডাউন" বাধ্যমূলক ও জনগন সেটাকে গুরুত্বের সাথে মেনে নিয়েছেন। কিন্তু অামরা কি করছি এখন?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অাপনি দিন রাত এক করে দেশের মানুষের জন্য অনেক উন্নয়ন ও ভালো কাজ করেছেন। অাপনি এখন দয়া করে অাপনার অাশেপাশের বির্তকিত ব্যক্তি সহ সকলকে বাদ দিয়ে দেশের পলিসি মেকারদের, গবেষকদের, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে একক সিদ্ধান্ত নিন।
বর্তমানে মৃত্যুর মুখে দাড়িয়ে এমন সংকটের দিনেও দেশের মানুষ এতটাই অসৎ এবং অমানবিক নিষ্ঠুর মানসিক বিকারগ্রস্ত হয় কিভাবে? ব্যবসায়ী, ভূমিদূস্যু, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, চোর, ঘুষখোর, গুন্ডামাস্তান সহ তারা এখনো কোন কিছুর তোয়াক্কা করছে না। চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। বর্তমানের এই অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সকলে সর্তক, সচেতনতা ও সাবধান হই। অাল্লাহ তালা অামাদের সহায় হোন অামিন।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.