|| ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) দ্রুত ও সহজ টেস্ট পদ্ধতির উদ্ভাবক বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীলের জরুরী তলব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার -দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৩ মার্চ, ২০২০
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) দ্রুত ও সহজ টেস্ট পদ্ধতির উদ্ভাবক বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীলের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাকে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২২ মার্চ) বিকেলেই তার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ততার কারণে এদিন তাদের সাক্ষাত হয়নি। এমনকি সাক্ষাতের নতুন সময়ও নির্ধারণ হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ড. বিজন কুমারকে জানানো হয়েছে যে, খুব শিগগিরই দুজনের সাক্ষাত কথা হবে।
রোববার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় সাংবাদিক কে এসব তথ্য জানান ড. বিজন কুমার শীল নিজেই। মোবাইল ফোনে এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে ডেকেছিলেন। আজ আমার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওখান (প্রধানমন্ত্রীর দফতর) থেকেই আবার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই আমাদের জানানো হবে।’
‘উনি (প্রধানমন্ত্রী) ব্যস্ত মানুষ। সে কারণেই হয়তো সাক্ষাতের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে’— বলেন ড. বিজন কুমার শীল।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ সম্পর্কে জানতে চাইলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী রোববার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় দৈনিক বাংলার অধিকার প্রতিনিধিকে জানান‘একটা জিনিস পেলেই আমরা সবাই অন্যদিকে নিয়ে যাই। এখানে ব্যক্তিপূজা তো মুখ্য নয়। প্রধানমন্ত্রী তো কেবল ড. বিজন কুমার শীলকে ডাকতে পারেন না। পুরো একটা টিম কাজটি সম্পন্ন করেছে। ডাকলে তো সবাইকে ডাকা হবে। তাছাড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তো একটা প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে কাউকে নিতে হলে তো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এখন ও পর্যন্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে লিখিত আমন্ত্রণ আসেনি।’
এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ড. বিজন কুমার শীল নোভেল (কোভিড-১৯) পরীক্ষার যে দ্রুত পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন সেটা বাস্তবায়নের জন্য রিএজেন্ট আমদানির অনুমোদনের ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগেই করেছেন।
যেহেতু ড. বিজন কুমার শীলের বর্তমান কর্মস্থল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। সেহেতু একটি মহল বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করছিল, যাতে রিএজেন্টগুলো তারা আমদানি করতে না পারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নিজে বিষয়টির প্রতি নজর রেখেছে ওই রিএজেন্ট আমদানির অনুমতির ব্যবস্থা করেন। শুধু এই অনুমতি দিয়েই তিনি বসে থাকেননি। করোনাভাইরাসের দুর্যোগ মোকাবিলায় ড. বিজনকে আরও কত বেশি কাজে লাগানো যায় সে কারনে ও তাকে তলব করেছেন।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.