|| ২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ডাঃ দেবি শেঠী জানালেন ঘরে বসে করোনা পরীক্ষার পদ্ধতি – দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৯ মার্চ, ২০২০
করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের শেষ নেই। আক্রান্ত হলে কী করতে হবে? কীভাবে এই ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকা যাবে? আক্রান্ত হলে বোঝার উপায় কী? ইত্যাদি বিষয় নিয়ে নানান প্রশ্ন রয়েছে সবার মনে। এবার সেই বিষয় নিয়ে এক অডিও বার্তা প্রকাশ করলেন ভারতের বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. দেবী শেঠি। তিনি করোনা প্রতিরোধে করণিয় নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তার ওই অডিও ক্লিপ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।l
দেবি শেঠী জানিয়েছেন, যদি কারো ফ্লু বা সর্দি থাকে, প্রথমে নিজেকে আইসোলেট করে লক্ষণ ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রথম দিন শুধু ক্লান্তি আসবে। তৃতীয় দিন হালকা জ্বর অনুভব হবে। সঙ্গে কাশি ও গলায় সমস্যা হবে। পঞ্চম দিন পর্যন্ত মাথা যন্ত্রণা। পেটের সমস্যাও হতে পারে। ষষ্ঠ বা সপ্তম দিনে শরীরে ব্যথা বাড়বে এবং মাথা যন্ত্রণা কমতে থাকবে। তবে ডায়েরিয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। পেটের সমস্যা থেকে যাবে। এবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অষ্টম ও নবম দিনে সব লক্ষণই চলে যাবে। তবে সর্দির প্রভাব বাড়তে থাকে। এর অর্থ আপনার প্রতিরোধক্ষমতা বেড়েছে এবং আপনার করোনার আশঙ্কা নেই।
তিনি বলেন, ‘এমন সময়ে আপনার করোনাভাইরাসের পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। কারণ আপনার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে। যদি অষ্টম বা নবম দিনে আপনার শরীর আরও খারাপ হয়, করোনা হেল্পলাইনে ফোন করে অবশ্যই পরীক্ষা করে নিন।’
দেবি শেঠী স্মরণ করিয়ে দেন, ‘ভারতের কাছে এ মুহূর্তে দেড় লাখ পরীক্ষার কিট রয়েছে এবং সর্বোচ্চ দেড় কোটির পরীক্ষা সম্ভব। তাই জ্বর হওয়ার দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনেই প্রত্যেকেরই করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। এতে আরও বড় সমস্যা হবে।’ ‘আমার পরামর্শ হলো, জ্বর হলেই করোনার পরীক্ষা নয়।
আগে অপেক্ষা করে উপসর্গ পর্যবেক্ষণ করুন। খারাপ হলে নিজেকে পরীক্ষা করিয়ে নিন’, বলেন তিনি। অত্যাধিক মাস্ক বিক্রির জেরে তার হাসপাতালেও ‘N95’ মাস্কের অভাব জানিয়ে চিকিৎসক বলেন, ‘আপনি ভয় পেয়েছেন বলে পরীক্ষা করা উচিত নয়।’
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.