বিশেষ প্রতিনিধিঃ ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, কারচুপি জালভোটের মধ্য দিয়ে ও কর্তৃপক্ষ'র কোনধরনের আইনি অনুমতি ছাড়াই চট্টগ্রাম জেলা মিরস্বরাই উপজেলার বারৈয়ারহাট হিঙ্গুঁলী ইউনিয়নে বেবী ট্যাক্সি ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি নং- চট্ট - ২৪১১) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহন শুরু হয়ে বিকেল ৪ টায় শেষ হয় এবং এই সংবাদ প্রকাশ করা পর্যন্ত ভোট গননা চলতে থাকে। হিঙ্গুঁলি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৬ টি বুথে ১হাজার ২০১ জন ভোটার প্রত্যক্ষ এবং গোপন পদ্ধতিতে তাদের ভোট প্রদান করে। নির্বাচনে মোট ১০ টি পদে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করে। তবে শ্রমিক ইউনিয়নের এই নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ দেখা গেছে। কেউ কেউ বলছে ১৯৯৫ সালের দিকে ১০০ শ্রমিক নিয়ে সংগঠনটি গঠন করার পর থেকে প্রতি তিন বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসলেও তারা আইনের প্রতি তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছামত নির্বাচন করে আসছে। ভোটার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা গনমাধ্যমকে জানান, এত বড় সংগঠন কিভাবে পরিচালনা করে, কোন পদ্ধতিতে তারা শ্রমিকদের থেকে চাঁদা আদায় করে, আদায়কৃত চাঁদা কোথায় যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান করেরহাট, বারৈয়ারহাট, মিরস্বরাই, হেয়াঁকো, কয়লা, শুভপুর, ছাগলনাইয়া সড়কে চলাচলকারী গাড়ী থেকে প্রতিদিন ২০ টাকা হারে প্রতি গাড়ী থেকে চাঁদা আদায় করলে মাসে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা আদায় হয় এবং বাৎসরিক প্রায় ১কোটি ২০ লাখ টাকা আদায় হয়। আদায়কৃত এই টাকা কোথায় যায়. নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের সচিব মোঃ নুরুল করিম ভূঁইয়া জানায় সংগঠনের আদারকৃত অর্থ থেকে চালকদের বিপদমূহুর্তে সহযোগীতা করা হয়। কোন চালক সড়ক দূর্ঘটনা বা কোন ধরনের বিপদের সম্মুখীন হলে তার জন্য আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করা হয়।কোন চালকের মৃত্যু ঘটলে তার পরিবারকে এককালীন ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহযোগীতা করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোঃ ইফতেখার উদ্দীন ভূঁইয়া পিন্টুকে শ্রম আইন অনুযায়ী নির্বাচন হচ্ছে কিনা বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে নির্বাচন হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি গনমাধ্যমকে জানান, আমরা বিগত সময়েও এভাবে নির্বাচন করেছি আমাদের আহবায়ক কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কোন লিখিত বা মৌখিক অনুমতি নেয়া হয়নি বলেও তিনি জানান।নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রার্থীরা হলেন সভাপতি পদে মোঃ নুর নবী, মোঃ সামছুল হক, মোঃ মোস্তফা, মোঃ জাহেদ হোসেন, সহ-সভাপতি পদে মোঃ মাহবুল হক, মোঃ ইউনুছ, মোঃ মাঈন উদ্দিন রাসেল, মোঃ ছিদ্দিক আহম্মদ খান সাব, সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ মহিউদ্দিন ভূঁইয়া, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ আবুল কাশেম, মোঃ আবদুল হামিদ রিপন, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ কামাল উদ্দিন, মোঃ নুরুল আমিন, মোঃ সামছুদ্দিন, মোঃ আইনুল কবির, মোঃ জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ আলতাফ হোসেন লিটন, মোঃ সামছুল হক, মোঃ শেখ ফরিদ, মোঃ হুমায়ুন কবির সুমন, কোষাধ্যক্ষ পদে মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ নিজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ জহির, দপ্তর সম্পাদক পদে মোঃ মহিউদ্দিন, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ হোসেন, প্রচার সম্পাদক পদে মোঃ তাজউদ্দিন সেলিম, মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ সাইফুল ইসলাম পারভেজ, লাইন সম্পাদক মোঃ নিজামউদ্দিন বলি, মোঃ নিজাম উদ্দিন ও মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সংগঠনের ছোট কার্যালয়ে গাদাগাদি করে ভোট গ্রহন চলছে. তখন ৬০১ ভোট কাষ্ট হয়েছে বলে প্রাথমিক সূত্রে জানাযায়। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট বসার জায়গা না থাকায় তারা বাইরে বসে। কিছুক্ষণ পরপর শোর-চিৎকারের সৃষ্টি হয়। ভোট গ্রহনের দায়িত্বে থাকা কয়েক কর্মকর্তাকে ভোটারদের প্রার্থীর পক্ষে প্রভাবিত করতে দেখা গেছে।