|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
খুলনার দাকোপে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার- দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধানঃ
খুলনার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তায় এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (২৪ফেব্রুয়ারি)ভোরে বানিশান্তা হাওয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশের মধ্যবিল এলাকায় ওই যুবকেরগলাকাটা মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা নিহত ওই যুবকের নাম সুব্রত মণ্ডল(২৯)। তিনি পেশায় একজন মোটরসাইকেল চালক ছিলেন। উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের পশ্চিম ঢাংমারি গ্রামের হৃদয় মণ্ডলের ছেলে সুব্রত।নিহতের স্ত্রী মাধবী মণ্ডল বলেন, রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাজারে তাঁদের নিজস্ব মুদি দোকানে বসে ছিল। রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল আসলে, কথা শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। রাত হলেও বাসায় না ফিরলে মোবাইলে কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আত্মীয়-স্বজনের কাছে খোঁজ নিয়েও তাঁর কোনো সন্ধান মিলেনি।
নিহত সুব্রতর বন্ধু নাজিম সরদার জানান, রাতে এক সঙ্গে দোকোনে ছিলাম। সুব্রতর মুঠোফোনে কল আসলে কথা শেষে সে বেরিয়ে যায়, আমরাও বাড়িতে চলে আসি। এরপর রাত ১২টার দিকে সুব্রতর বাবা ফোনে বলে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে খোঁজাখুজি করে সন্ধান না পেলেও রাত দুইটার দিকে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি মধ্যবিল এলাকায় পাওয়া যায়। তারপর ভোর পাঁচটার দিকে একই স্থানে সুব্রতকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল থেকে সুব্রতর মরদেহ উদ্ধার কার্যক্রমে যায় দাকোপ থানা পুলিশ। কে বা কারা তাঁকে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না কেউ।তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন অনেকেই।
বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সিনিয়র এএসপি হুমায়ুন কবির, দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে থানা পুলিশ এবং খুলনার সিআইডি ক্রাইম সিন ম্যানেজমেন্ট প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা লাশ হেফাজাতে নিয়ে ময়না তদন্তের জন্য খুলনায় পাঠানোর প্রক্রিয়ায় আছে। জানা যায় লাশের অদুরে সিগারেটের অংশ এবং জিলাপীর টুকরোসহ কিছু আলামত পাওয়া গেছে। তবে সুব্রতের কাছে থাকা মোবাইল ফোন স্বর্ণের চেইন ও আংটি পাওয়া যায়নি। হত্যাকান্ডের মোটিভ সম্পর্কে পুলিশ বা নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে কোন ধারনা দিতে পারেনি। ১ সন্তানের জনক সুব্রত পেশায় মোটর সাইকেল চালক ও মুদি দোকানী। সে ঢাংমারী গ্রামের হ্নদয় মন্ডলের একমাত্র পুত্র। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.