|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সৌদিয়া ব্রিকসে ‘অগ্রিম পরিশোধে’ পাওনা টাকা চাওয়ায় মালিক-শ্রমিকের হামলার গুরুতর আহত ২ -দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
গাজী মোহাম্মদ হানিফ, ফেনী প্রতিনিধি :
অগ্রিম টাকা পরিশোধ করেও যথাসময়ে ইট দেয়নি ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের সৌদিয়া ব্রিকস ম্যানুপেকচার লি.। উল্টো পাওনা টাকা চেয়ে মালিক-শ্রমিকদের হামলার শিকার হয়েছেন মো: এজহারুল হক খোন্দকার ও জাহিদুল আলম। হামলায় তাদের মাথা ফাটল ও হাত ভেঙ্গে যায়। তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্ত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১৭ অক্টোবর ৫০ হাজার ইট কিনতে সৌদিয়া ব্রিকস মালিক মো: নুরুন্নবী ও আবদুল আউয়ালকে অগ্রিম ৪ লাখ টাকা পরিশোধ করেন উত্তর ধলিয়া গ্রামের সামছুল হক খোন্দকারের ছেলে মো: এজাহারুল হক খোন্দকার। বিভিন্ন সময় ইট দেয়ার কথা বলে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। গত রবিবার সকালে তারপক্ষে জাহিদুল আলম ইট আনতে পাঠালে তারা অস্বীকার করে। খবর পেয়ে এজহার সেখানে ছুটে গেলে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় নুরুন্নবী, আউয়াল ও ফিল্ড ম্যানেজার জামাল উদ্দিন বাবুল তাদের উপর হামলে পড়ে। দু’জনের মাথায় লোহার রড় দিয়ে আঘাত করে। কিছু বুঝে উঠার আগেই ব্রিকস শ্রমিকরা জড়ো হয়ে এজহারের পকেটে থাকা ৩ লাখ টাকা, জাহিদের পকেটে থাকা সাড়ে ৩ হাজার, ৫৭ হাজার টাকা মূল্যের দুটি মোবাইল ফোন, ৩৪ হাজার টাকা মূল্যের দুটি ঘড়ি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় এজহারুল হক খোন্দকার বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
হামলায় আহত জাহিদের মামা ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান করিম উল্লাহ বি.কম জানান, জাহিদ ও এজহারকে মারধর করে মোটর সাইকেলটি রেখে দেয়। ঘটনাটি জেনে লোক পাঠিয়ে মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছেন। এ ব্যাপারে মো: নুরুন্নবীর বক্তব্য জানতে মঙ্গলবার বিকালে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো: আলমগীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.