|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
নয়া কৌশলে পাড়ের মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় নড়িয়ায় খাল কাটছেন বিভিন্ন মামলার আসামী ফারুক-কবির-সাদ্দাম চকিদার- দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
বিশেষ প্রতিনিধি: নড়িয়ায় সাব কণ্ট্রাক্ট নিয়ে খাল কাটছেন বিভিন্ন মামলার আসামী ফারুক চকিদার ও তার ভাই কবির এবং সাদ্দাম চকিদার।
জানাযায়, উপজেলার ভোজেশ্বর বাজার থেকে বিঝারী বাজার হয়ে পঞ্চপল্লী, মুলফৎগঞ্জ বাজার হতে চাকধ, গৌরাঙ্গ বাজার হয়ে রোকনপুর পর্যন্ত প্রকল্পে মূল ঠিকাদারদের বিভিন্ন চাপে ফেলে বাধ্য করে সাব কণ্ট্রাক্টের কাজ নেয় তারা। এখন নয়া কৌশলে খাল পাড়ের মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করে নিচ্ছে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন ভূক্তভোগী জানান, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সকল প্রকল্পইতো সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য।
খাল কাটলে আমাদেরই উপকার হবে। আমাদের কৃষি কাজে ব্যাপক উন্নয়ন হব্ েএবং আমরাও এটা চাই কিন্তু ফারুক চকিদার ও তার ভাই কবির চকিদারের কাছে আমরা এক কথায় জিম্মি হয়ে পড়েছি। ওনারা খাল কাটবে একটা নিয়মের মধ্য দিয়ে কিন্তু আমাদের বাড়ীর পাশে এমন গভীর করে কাটছে তাতে বাড়ী-ঘর ভেঙ্গে খালে পড়ছে এবং আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ওই ভাঙ্গা পাড় ভরাট করে। এটা একটা নিরব চাঁদাবাজী ছাড়া কিছুই না।
আমরা নিরূপায় হয়েই তাদের টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছি।’ নাম না প্রকাশ করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, ‘ফারুক চকিদাররা হলো সমাজের আতংক। খুন, নারী ধর্ষণ, কিডন্যাপ, অন্যের জমি দখল ও মাদক সম্রাট হিসেবেই ফারুক চকিদাররা সমাজে খ্যাত। তাদের কোন দল নেই। তারা নিজেরাই একটি দল। টাকার জন্য যে কোন অপরাধ করতে তাদের একটুও বাধে না।
ওনাদের কৌশলের শেষ নেই। এক ভাই কোন একজনকে কিডনাপ করে আবার আরেক ভাই ওই পরিবারের পক্ষ নিয়ে থানা পুলিশের সহায়তার নাটক সাজিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ফেরত দেয়। শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তার প্রধান পুঁজি। এলাকায় রয়েছে তাদের একটি বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। আর এর বাহিনী ব্যবহার করে তারা অপরাধ অপকর্ম করে। শরীয়তপুরে ফারুক চকিদাররা একটি অপরাধের সর্গরাজ্য ও ত্রাসের অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত করেছে যা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা এসব করছে।
প্রশাসন নিশ্চুপ্। অগনিত মামলার আসামী হয়েও ফারুক চকিদাররা সমাজে মাথা উঁচু করে চলে। তারা সরকারী গাড়ীতে চড়ে। তাদের চলাফেরায় মানুষ ভয়ে থাকে। তাদের গাড়ীর বহর দেখরে মনে হয় উর্দ্ধতন পুলিশ কিংবা আর্মির অফিসার যাচ্ছে। থানায় খোঁজ নিলে দেখা যাবে ওদের বিরুদ্ধে অগনিত মামলার প্রমান পাওয়া যাবে’ স্থানীয় কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, আমরা শরীয়তপুরে যে কোন কাজ করতে গেলে চকিদার পরিবারের শিকার হই।
ওনারা খুবই ডেঞ্জারাস। শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগের এতো নেতা-কর্মী থাকতেও মূল কাজ তাদের দিয়েই করাতে বাধ্য হই। যদি এসব কাজ তাদের না দেই তাহলে হয়তো খুন ও গুমের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো সত্যতা মিললে ব্যবস্থা নিব। পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে একাধীকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ফারুক চকিদারকে ফোন দিলে তিনি কলটি কেটে দেন। সমাজে স্বস্তি ফেরাতে অতি দ্রুত তদন্ত করে এর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.