|| ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সোনাগাজীর জাতীয় পার্টির নেতা সিরাজের বিরুদ্ধে মৎস্য প্রকল্প জবরদখল চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশের তারিখঃ ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
সোনাগাজী প্রতিনিধি:
সোনাগাজীর মুহুরী প্রকল্প সংলগ্ন থাক্ খোয়াজের লামছি মোজায় ইজারা কৃত মৎস্য প্রকল্প জবরদখল করে ইজারাদার সোনাগাজী পৌরসভার তুলাতলী গ্রামের সাহাব উদ্দিন মেম্বার ও নিজাম উদ্দিন খোকন কে উচ্ছেদের পায়তারা করছে সোনাগাজী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।
১লা ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে সোনাগাজী প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন- সোনাগাজীর তুলাতুলী গ্রামের সাবেক মেম্বার মোঃ সাহাব উদ্দিন।
মোঃ সাহাব উদ্দিন মেম্বার সংবাদ সম্মেলনে জানান- আমি ও আমার ছেলে মোঃ নিজাম উদ্দিন খোকন, আমাদের মৌরশ সম্পত্তি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাহাদুর নিম্ন লিখিত এল,এ, কেইছে (সোনাগাজী মুহুরী প্রজেক্ট স্লুইসগেট সংলগ্ন) ভূমি অধিগ্রহণ করে। বর্তমানে পরিত্যক্ত জায়গা মৎস চাষের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী ফেনী, ফেনী পানি উন্নয়ন বিভাগ হতে গত ২০/ ০৩/ ২০১৯ ইং তারিখে ৬৯ নং থাক খোয়াজের লামছি মৌজার দিয়ারা জরিপি ২/ ৮৬/ ৭,২/ ৩০,২/৩৩,২/১০ ও ২। এল,এ,কেইস- ৬/৭৫- ৭৬ ও ১১ /৯১- ৯২ এর ভূমিতে মৎস চাষ করার জন্য এক সনা ভিত্তিতে ৩ তিন বছর মেয়াদী আমার নামে ২৫০ ডিং ও আমার ছেলে মোঃ নিজাম উদ্দিনের নামে ২০০ ডিং সর্বমোট ৪৫০ ডিং ভূমি ইজারা নিয়ে তথায় সুরত আলী মৎস্য প্রজেক্ট নামে দুইটি প্রকল্পে বিভিন্ন প্রকার কার্প জাতীয় মাছ চাষ করে ২ জন শ্রমিক দিয়ে নিয়মিত তদারকী করে আসছি।
ইদানিং সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামের জনৈক মৃত আব্দুর রব মিয়ার ছেলে সিরাজুল ইসলাম (প্রকাশ চুল্লা সিরাজ) তার দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার ও আমার ছেলের নামীয় ইজারাকৃত মৎস প্রকল্প জবর দখল করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তিনি আমার পাহারাদারদের হুমকি ধমকি দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছেন। উক্ত সিরাজ যে কোন মূহুর্তে আমার ও আমার ছেলে মোঃ নিজাম উদ্দিন নামীয় ইজারাকৃত মৎস প্রকল্প জোর পূর্বক জবরদখল করে নিতে পারে।
এতে আমিও আমার ছেলে কোন প্রকার বাঁধা প্রদান করিলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ সহ খুন খারাবির ঘটনা ঘটতে পারে মর্মে সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম সিরাজের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- উল্লেখিত মৎস্য প্রকল্পের জমি তিনি ইজারা নিয়ে মৎস্য চাষ করিতেছেন, জবরদখল করার অভিযোগ সত্য নয়। তবে তিনি ইজারার কাগজপত্র দেখাতে অনীহা প্রকাশ করেন।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.