|| ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
হাজীগঞ্জের শুকুর আলম (শুভ) এ-র রাজনৈতিক অজানা কথা -দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৩১ জানুয়ারি, ২০২০
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতৃত্বদানকারী প্রিয় ভাইয়েরা, যখন রাজপথে রাজনীতি ছিলো তখন আমাদের ঠিকানা ছিলো একটাই রাজপথ টু কারাগার।
আমরা কিন্তু আপনাদের মতো আগেপিছে পুলিশি পাহারায় হাতে ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা মিছিল করার সৌভাগ্যময় সময়টিতে ঐতিহাসিক সংগঠনটির নেতৃত্ব দেইনি।
বড় কষ্টকর সময়ে আমরা আজকের আওয়ামী পরিবারের নেতৃত্ব দিয়েছি।
একটা একটা করে কর্মী জোগাড় করার জন্য আমরা মাইলের পর মাইল হেটেঁ সংগঠনের সাংগঠনিক মেধাবী ও তুখোড় নির্লোভ কর্মী তৈরি করেছি শেখ হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে হয়েছে।
প্রিয় ভাইয়েরা খুব কষ্ট পাই তখন, যখন দেখি সংগঠনের সাংগঠনিক কাঠামো বিনষ্ট করে প্রানের সংগঠনের জন্মবার্ষিকীর র্র্যালিটিতেও শুভ শুভ শুভ দিন ছাত্রলীগ কিংবা যুবলীগের জন্মদিন স্লোগান না তুলে-ওমুক ভাই আসছে-রাজপথ কাঁপছে মার্কা স্লোগান দিয়ে পুচঁকে ও ছেঁছড়া পোলাপানগুলোও ৫/৬ ভাগে বিভক্ত হয়ে নিজেদেরকে রাজপথে বড়নেতা বুঝাতে জাহিরি করে তুলে।
আজ ওরা শিবির ছাত্রদলকে ছাত্রলীগ পদ দেয় নিজেদের লোক বেশি মানুষকে দেখাতে। আর অনুপ্রবেশকারীরাও ছাত্রলীগের পদে বসে শুরু করেন আজহারী ভন্ডদের গুন কীর্তন।
অথচ-আমরা সেই ২০০১ এর পর খালেদা নিজামীর ভয়াবহ দুঃশাসনকালীন সময়টাতে আমাদের রাজনীতিটা ছিলো-যে কোনো মূল্যে একদিকে নেত্রী ঘোষিত হরতাল-অবরোধ সফলভাবে পালনের তাড়া।
আর অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জারি করা হুলিয়া এবং তাদের হাতে আটক না হয়ে গ্রেফতার এড়িয়ে কেন্দ্র ঘোষিত হরতাল অবরোধ সফলে রাজপথ দখলে রেখে পিকেটিং করা।
আরেকদিকে সশস্ত্র দাঙ্গা পুলিশ সহ ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের হামলার প্রতিরোধ ও মোকাবেলা করে প্রানের নেত্রী ঘোষিত কর্মসূচি সফলভাবে শেষ করে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন থেকে স্ব-উদ্যোগে আগত নেতাকর্মীদের বিদায় করা...এবং বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালন শেষে বাড়ী ফেরত নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত কিংবা গুপ্ত হামলার খবর পেয়ে তাত্ক্ষণিক তাদের হাসপাতালে ভর্তির ব্যাবস্থা করা।
অবশেষে ক্ষুদার্ত ও ক্লান্ত দেহে বাড়ি ফেরার আগেই সিনিয়র নেতাদের কাছ থেকে শুনতে পাওয়া যে, উল্টো আমাদেরই নামে ২/৩ টা নতুন মামলা নতুনভাবে রুজু হয়। এবং হামলার শিকার নেতাকর্মী সহ আমাদেরকেও আসামী করার সুখবর শুনার পর নিজ ঘরবাড়ি মা বাবা ভাইবোনকে পেরেশানিতে রেখে সবকিছু ফেলে পথে প্রান্তরে বন-জঙ্গলে-সাপ বিচ্ছু মশার কামড় খেতে-খেতে নির্ঘুম রাত্রিযাপনের অসহনীয় ফেরারি জীবন পার করার মতো ঘটনা।
এসবই আমরা বছরের পর আমাদের মা বোনদের নিদারুন কষ্টে ফেলে রেখে শুধু দেশ ও দলের স্বার্থে তা হাসি মুখে মেনে নিয়ে সেই চরম দুঃসময়ের বিরোধী আমলটা পার করেছি...
আমরা ছাত্রলীগকে শক্তিশালী করার একটাই লক্ষ ও উদ্দেশ্য ছিলো,।
জামায়াত বিএনপির শক্তিকে রাজপথের মোকাবেলায় তছনছ করে দিয়ে জাতির জনকের কন্যা ঘোষিত দাবী আদায়ের সকল কর্মসূচি সফলভাবে পালন করে আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী হিসেবে জনগনের কাছে উপস্থাপন করে তা জানান দেয়া এবং আমরা পেরেছিও করে তা দেখিয়েছি।
যা সারা হাজীগঞ্জ উপজেলাবাসী দেখেছে...
আর আজ? ক্ষমতার হালুয়া রুটির ভাগবাটোয়ারা পাওয়ার লোভে নিজ সহযোগী সহযোদ্ধা ভাইয়ের মাংস ভক্ষণে বিএনপি জামায়াতের পরিবারের বাচবিচার না করে অধলা বদলা চা দোকানি টোকাইদেরও ছাত্রলীগের পদে বসিয়ে নিজের দল ভারি করে দুঃখজনক হলো নিজ সংগঠনের এক ভাই আরেক ভাইকে রক্তাক্ত করার প্রতিযোগিতায় নেমে নিজেদের জাহিরি করাটাই নাকি রাজপথের ছাত্ররাজনীতি হায়রে বহুকষ্টের ছাত্রলীগ।
প্রিয় ভাইজানরা
আপনাদের মতো আমরা শুধুমাত্র ফেসবুকে রাজনৈতিক ডায়নামিক নেতা...হেনতেন করেঙ্গা মার্কা নেতা হিসেবে নিজেকে উল্লেখ্য করে পোলাপানকে বলে কয়ে আপলোড করা জাহিরি নেতা হইনি।
আমরা অসহযোগ আন্দোলনের মতো রাজপথ রেলপথ সড়কপথ আকাশপথ অচলের মতো উত্তপ্ত আগুনঝরা আন্দোলন করেই ছাত্রলীগের একজন কর্মী হয়েছিলাম হয়েছি।
আমরা ২০০১ এর পহেলা অক্টোবরের পর নেত্রী ঘোষিত হরতাল,অবরোধ,বিক্ষোভ,প্রতিবাদ কর্মসূচি বাস্তবায়নে রাজপথের আন্দোলন করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী হয়েছি।
আমরা ২০০২ সালের ২৯ ডিসেম্বর খালেদা নিজামীর অপারেশন ক্লিনহার্টে অমানুষিকভাবে সেনা নির্যাতিত হয়ে ডিটেনশনে দিনের পর দিন মাসের পর মাস কারাগারে আটক থেকে আওয়ামীলীগের রাজনৈতি করে কর্মী হয়েছি,।
এই আমরা (২০০৪ সালের ৬ মার্চ) কেন্দ্রঘোষিত হরতালের পিকেটিং পালন করতে গিয়ে একদিকে সশস্ত্র জামায়াত শিবির-আরেকদিকে শতশত সশস্ত্র বিএনপি ক্যাডার-অন্যদিকে দাঙ্গা পুলিশের গুলি-রাবারবুলেট ও টিয়ারগ্যাসের মতো ত্রিমুখী আক্রমন মোকাবেলা করার পরপরই জেলায় প্রথম দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলাটি সহ আরও সেদিনই পুলিশ/বিএনপি/জামায়াতের দায়েরকরা চার ৪টি মামলার আসামী হই। শত নির্যাতনের সয়েও হাসতে হাসতে কারাবরণ করে আওয়ামীলীগের কর্মী হয়েছি।
কথাগুলো বর্তমান ও আগামীর নেতৃত্বদানকারীদের উদ্দেশ্য এজন্যই বললাম ভাই লীগ নিজলীগ বাদ দিয়ে জাতির জনকের কন্যার উন্নয়নের প্রচারটা করে অন্তত জননেত্রীকে লক্ষ অর্জনে অনুপ্রাণিত করুন।
দেশ ওজনগনের সমথর্ন নিয়ে কাজ করুন,
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.