|| ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
মাতামুহুরী রেঞ্জ থেকে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশে অত্যন্ত বিপন্ন বিরল প্রজাতির বনছাগলটি সাফারী পার্কে স্থানান্তর- দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৫ জানুয়ারি, ২০২০
বেলাল আহমদ,চট্রগ্রাম ব্যুরো :বান্দরবানের লামা বন বিভাগের মাতামুহুরী সংরক্ষিত বন থেকে উদ্ধার হওয়া বন ছাগল ছানাটি (সেরো) ডুলাহাজারা সাফারী পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে। বনকর্মীদের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া এ বনছাগলটি ‘আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন)’-এ বিশেষ বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী হিসেবে তালিকাভূক্ত। প্রকৃতি বিশারদদের মতে, এ প্রজাতির বনছাগল বা সেরো বাংলাদেশে বিরল।
লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস.এম কায়চার জানান, বাংলাদেশে দুর্লভ প্রজাতির এ বনছাগল ছানাটি আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা ইউনিয়নের ইয়াংনং মুরুং পাড়ায় পাওয়া গেছে। সেখানকার মুরুং বাসিন্দারা দুর্গম বন থেকে ছাগল ছানাটি গত সপ্তায় আটক করে। আমরা খবর পেয়ে বনছাগল ছানাটি উদ্ধার করি।
তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া বন ছাগল ছানার ইংরেজি নাম রেড সেরো। এটি দেশের বিরল প্রজাতির একটি বন্যপ্রাণী। বাসস্থান ক্ষতি এবং শিকারের জন্যে এ প্রজাতির বনছাগলের অস্তিত্ব পুরো পৃথিবীতে হুমকির সম্মুখীন। যার কারণে ‘আইইউসিএন’ তালিকায় বিপন্ন প্রজাতি প্রাণী হিসেবে এটি অন্তর্ভূক্ত।
প্রকৃতিপ্রেমি ও ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক অপু নজরুল জানান, ‘বনছাগল বা সোরা সন্ধ্যা ও খুব ভোরে খেতে বের হয়। সারাদিন চিপায়-চাপায় বা গর্তে বসে জাবর কাটে। ঝোপ-ঝাড়ে কিংবা পাথুরে ঢালে পালিয়ে থাকে বলে এদের দেখা পাওয়া মুশকিল। এরা এক ধরণের গন্ধগ্রন্থির সাহায্যে গন্ধ ছড়িয়ে টেরিটোরি মার্ক করে রাখে। বনছাগল বাংলাদেশে অত্যন্ত বিপন্ন ও দূর্লভ প্রাণী। তাঁর মতে, প্রকৃতিতে মুক্ত বনছাগলের ছবি কেউ বাংলাদেশে তুলতে পারেনি।
মাতামুহুরী রেঞ্জ কর্মকর্তা জহির উদ্দিন মোঃ মিনার চৌধুরী জানান, উদ্ধার হওয়া বনছাগলটি গত ২৩ জানুয়ারী ডুলাহাজারা সাফারী পার্কে স্থানান্তর করা হয়েছে। সাফারী পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী ও ডাক্তার মাহফুজুর রহমানের তত্বাবধানে বন ছাগল ছানাটির চিকিৎসা চলছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.