|| ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৫ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
পুলিশের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গনমাধ্যমের সহযোগীতায় রুবেল ফিরে পেলো বাবা মা-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯
সোহেল চৌধুরী রানা, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁ জেলা পুলিশের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গনমাধ্যমের সহযোগীতায় প্রায় ৬ দিন পর সাপাহার থানা হেফাজতে থাকা বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রুবেল ফিরে পেলো তার বাবা মা।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৯ টায় নওগাঁ পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্যমে পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া উপস্থিত থেকে সাপাহার থানা হেফাজতে থাকা বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রুবেল কে তার বাবা সাবেক শিক্ষক তৈয়ব আলী'র জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। তিনি রুবেলের চিকিৎসার জন্য তার পরিবারকে প্রয়োজনীয় সাহায়তা প্রদানের ও আশ্বাস দেন।
এবিষয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি তে জানা যায়, ২৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০ টায় সাপাহার উপজেলার আইহাই ইউনিয়নের সরলী গ্রামে রুবেলকে সন্দেহ জনক ভাবে ঘুরাফেরা করতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে থানায় নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে তার নাম রুবেল। থানা পুলিশ আরো জানতে পারে, রুবেল একই সাথে বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক ব্যাক্তি। এরপর রুবেলকে থানা হেফাজতে রেখে তার পরিবারের সন্ধানে পুলিশ সুপারের নির্দেশনা অনুযায়ী সাপাহার থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই-এর উদ্যোগে ও স্থানীয় সংবাদিকদের সহযোগীতায় বিভিন্ন মাধ্যম সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারনা চালানো হয়। আবশেষে পুলিশ জানতে পারে, বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রুবেল (২৬) নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার কচুকাটা (উত্তর পাড়া) গ্রামের সাবেক শিক্ষক তৈয়ব আলীর ছেলে।
বিষয়টি সাপাহার থানার ওসি রুবেলের পরিবারকে জানালে। খবর পেয়ে রুবেলের বাবা মা সহ পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন নওগাঁয় তাদের আদরের সন্তানটিকে ফিরে পেতে।
এসময় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা শাখা) ফারজানা, সহকারী পুলিশ সুপার (সাপাহার সার্কেল) বিনয় কুমার, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই, রুবেলের পরিবারবর্গ ও গনমাধ্যম কর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রুবেলের দেখ ভাল দ্বায়িত্বে ছিলেন সাপাহার থানার কম্পিউটার অপারেটর কনস্টেবল তৌহিদ। তিনি রুবেল কে ৬ দিন পরম মমতায় আগলে রাখেন।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.