|| ৩০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৩০শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
মুক্তিযুদ্ধার নাম রাজাকারে আসলে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলে যাচাইবাছাই করে সংশোধন করা হবে-মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী – দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার নাম উল্লেখ করা হয়েছে, এমন অভিযোগ ওঠার পর তা নিয়ে ক্ষোভের মুখে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে রাজাকারের তালিকা সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বিবিসি বাংলাকে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ভুলভাবে কোনো মুক্তিযোদ্ধার নাম এলে তাদের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হলে তা তদন্ত করে তালিকা সংশোধন করা হবে।
রাজাকারের তালিকা প্রকাশের পর মঙ্গলবার কয়েকজনের নাম অর্ন্তভূক্তির প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ সমাবেশ বা মিছিল করার খবর পাওয়া গেছে।
১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি গোলাম আরিফ টিপু এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা হয়েও নিজের নাম রাজাকারের তালিকায় দেখে তিনি বিস্মিত হয়েছেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠনগুলো ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনীকে সহায়তাকারী রাজাকার, আল-বদরসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম আসার বিষয়ে তদন্তের দাবি তুলেছে।
তালিকায় যাদের নাম নিয়ে বেশী সমালোচনা হচ্ছে, তাদের একজন বরিশালের আইনজীবী তপন কুমার চক্রবর্তী, যিনি একজন গেজেটভূক্ত মুক্তিযোদ্ধা। তার নাম এসেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রাজাকারের তালিকায়। মি: চক্রবর্তীর সাথে তার মা প্রয়াত ঊষা চক্রবর্তীর নামও তালিকায় রয়েছে।
তপন কুমার চক্রবর্তীর বাবা সুধীর কুমার চক্রবর্তীকে মুক্তিযুদ্ধের সময়ই পাকিস্তানী বাহিনী বাসা থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছিল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করার জন্য। তাহলে প্রস্ন?
মুুুক্তিযোদ্ধা হয়েও তপন কুমার চক্রবর্তীর নাম রাজাকারের তালিকায় আসায় বরিশাল নগরীতে বিক্ষোভ হয়েছে।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.