|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
কল্পনাশক্তিকে জাগ্রত করতে বই পড়ার বিকল্প নেই খুলনায় বইমেলায় উদ্বোধনীতে ড. জাফর ইকবাল -দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯
স্বপন কুুুমার রায় খুলনাজেলা প্রতিনিধি।
শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে কল্পনাশক্তি কেবল মানুষের আছে, আর এই কল্পনাশক্তিকে জাগ্রত করতে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। তিনি আজ (বুধবার) খুলনা বিভাগীয় বইমেলার উদ্বোধনী বক্তৃতায় একথা বলেন।
খুলনা সার্কিট হাউস প্রাঙ্গনে সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে ও খুলনা জেলার প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই মেলা ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় জাফর ইকবাল বলেন, স্মার্টফোনের ছোট্ট একটা পর্দায় আমরা আমাদের পৃথিবীটাকে সীমাবদ্ধ করে ফেলছি। আমরা অবশ্যই প্রযুক্তির ব্যবহার করব তবে প্রযুক্তি যেন আমাদের ব্যবহার করতে না পারে।
ফেসবুক ও ড্রাগের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর মাদক নিতে না পারলে মাদকসেবীদের যে অবস্থা হয়, ফেসবুক ব্যবহারে আমাদের মধ্যে একই আচরণ লক্ষ্য করা যায়। তাই তিনি কোমলমতি বাচ্চা ও তরুণদের হাতে স্মার্টফোন না দিয়ে বই তুলে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মধ্যে এখন ভালোর চেয়ে খারাপ জিনিস বেশি প্রবেশ করেছে। এগুলো আমাদের তারুণ্যের শক্তিকে উøাবনী ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় ঘরে ঘরে বইপড়া আন্দোলন শুরু করা।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর, মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর কবির, প্রেসক্লাবের সেক্রেটারী মোঃ সাহেব আলী। স্বাগত জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোলাম মাঈন উদ্দিন হাসান।
খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে অনুষ্ঠিত এই মেলা প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে। তবে ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। (তথ্যবিবরনী পিআইড
খুলনা)।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.