|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
রিনা হত্যার মূল আসামি সহ দুই জনকে আটক করেন পিবিআই- দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯
মামুনুর রশিদ, ময়মনসিংহ(ত্রিশাল) প্রতিনিধি:
গার্মেন্টস কর্মী রিনা হত্যার মূল আসামিসহ দুইজনকে গ্রেফতার ও ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে বাংলাদেশ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভিষ্টিগেশন ময়মনসিংহ ( পিবিআই)। বুধবার রাতভর অভিযান চালিয়ে ঢাকা মিরপুরের পাইকপাড়া এলাকা থেকে হত্যাকান্ডে জড়িত রুবেল (৩১) ও তার সহযোগী প্রাইভেটকার চালক ইমারত (৩৬)কে গ্রেফতার করে পিবিআই। জব্দ করা হয় তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি।
বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতে দেয়া তাদের জবানবন্দিতে বেড়িয়ে আসে হত্যাকান্ডের মূল রহস্য।
গত ২৩ অক্টোবর ময়মনসিংহের ত্রিশালের চেলেরঘাট খিরু নদীর ব্রীজের নীচ থেকে অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার করে ত্রিশাল থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় মামলা হয় ত্রিশাল থানায়।
পরে ২৫ নভেম্বর মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পড়ে বাংলাদেশ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভিষ্টিগেশন ময়মনসিংহ(পিবিআই’র) হাতে। দায়িত্ব পাওয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে ডিসিস্ট ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে অজ্ঞাত মহিলার লাশের পরিচয় মিলে পিবিআইয়ের কাছে। তারা জানতে পারেন মাগুরা জেলার সদর উপজেলার খানপুর গ্রামের মুরাদ মোল্লার মেয়ে রিনা খাতুন ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকুরি করতেন।
পিবিআই ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুবকর ছিদ্দিকের নেতৃত্বে বুধবার রাতভর অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ঢাকা মিরপুর পাইকপাড়া এলাকা হতে রিনা হত্যার মূল আসামি রুবেল ও তার সহযোগী ইমারতকে গ্রেফতার করা হয়। রুবেল কিশোরগঞ্জ তাড়াইলের শিকান্দরনগর গ্রামের মৃত সবুজ হাওলাদারের ছেলে ও ইমারত মোল্লা ফরিদপুর বোয়ালমারি দীতপুর গ্রামের মৃত মানিক মোল্লার ছেলে।
পরে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতে তাদের দেয়া জবানবন্দিতে বেড়িয়ে আসে হত্যাকান্ডের মূল রহস্য।
এএসপি আবু বকর সিদ্দিক জানান, জবানবন্দিতে আসামিরা বিজ্ঞ আদালতে বলেছে, পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের সুত্রে রিনাকে রুবেল তার গ্রামেরবাড়ি কিশোরগঞ্জ তাড়াইলের শিকান্দরনগর নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঢাকা মেট্রো-চ-২৫-৫৫২৮ নম্বরের একটি প্রাইভেটকার যোগে ঢাকা থেকে নিয়ে আসে। প্রথমে রিনাকে ত্রিশালের বালিপাড়া ব্রিজের মোড়ে নিয়ে যায়।
পরে আবার গাড়ি নিয়ে চলে আসে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চেলেরঘাট এলাকায় খিরু নদীর ব্রীজের পাশে। সেখানেই শাসরোধে হত্যা করে লাশটি ব্রিজের নিচে ফেলে রেখে তারা আবার ঢাকাতে চলে যায়।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.