|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
নান্দাইলে আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে সোনালী হাসিঁ- দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯
ফরিদ মিয়া নান্দাইল ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমন ধানের সোনালী শীষ ছেয়ে আছে মাঠের পর মাঠ। আর মাঠ ভরা ফসল দেখে কৃষকের মুখে ফুটেছে সোনালী হাসিঁ। উপজেলার ১টি পৌরসভা সহ ১৩টি ইউনিয়নে আমন ধান কাটার শেষ পর্ব চলছে। কৃষকদের মধ্যে কেউ দিন মজুরি দিয়ে ক্ষেতের ধান কাটাচ্ছে। আবার কেউ সময় ও সহজলভ্য বলে আধুনিক প্রযুক্তির ধান কাটার মেশিন দিয়ে আমনের সোনালী ফসল ঘরে তুলছে। একটি মেশিন দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০-১২ হেক্টর জমির ধান কাটা যায়। যেখানে ধান কাটাতে ২০০ শ্রমিকের প্রয়োজন হতো। জানাযায়, কাঠা প্রতি ধান কাটাতে মেশিন খরচ দিতে হয় ৪৫০-৫০০ টাকা। তার বিপরীতে একজনের শ্রমিকের শুধু ধান কাটার মজুরি হিসাবে ৪৫০-৫০০ টাকা দেওয়া হলেও বাকী কাজ অসম্পন্ন থেকে যায় পাশাপাশি সময়েরও ব্যাপার রয়েছে। অথচ মেশিনের মাধ্যমে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও ধান বস্তাবন্দী হওয়ায় কৃষকের খরচ কম পড়ে। তাই মেশিনের মাধ্যমে ধান কাটাতে কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারী-বেসরকারী মিলিয়ে ১২টি ধান কাটার মেশিন মাঠে ছড়ে বেড়াচ্ছে। বর্তমানে ধানের বাজার মূল্য রয়েছে প্রতি মণ ৬০০-৬৫০ টাকা। এতে এবার কৃষকের মুখে কিছুটা হাসিঁর ঝিলিক দেখা যাচ্ছে। নান্দাইল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, ২২ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদনের ল্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৪ হাজার ২৯৫.৪০ মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, এ বছর ব্রি-ধান ৩২, ৩৪, ৪৯, ৫১, ৫২, ৫৬, ৫৭, ৬২, ৭১, বি আর ২২ এবং স্থানীয় জাতের কালিজিরা, গোলাপি এবং বিরই জাতের ধান বেশি আবাদ করা হয়েছে। তাছাড়া উপজেলায় ১৯টি প্রদর্শনী প্লটে রোপা আমনের চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. হারুন অর রশিদ বলেন, মাঠ পর্যায়ে তদারকি, কৃষকদের পরামর্শ এবং আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার ল্যমাত্রার চেয়ে ভালো ফসল অর্জন হয়েছে। আমন আবাদের সব জমিকে চাষের আওতায় আনতে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ সহ সরকারের পক্ষ থেকে কৃষি প্রণোদনা দেওয়া অব্যাহত রয়েছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.