|| ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
কচুয়ায় ভিক্ষুকের জায়গা দখলের চেষ্টা-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার,কচুয়াঃ
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার আটমোর গ্রামে নিরীহ নুরুল ইসলাম ও তার ভিক্ষুক স্ত্রী মর্জিনা বেগমের জায়গায় জোর পূর্বক বেরী দিয়ে সীমানা দখলের চেষ্টা, বাড়ী ঘর হামলা, ভাংচুর ও মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ন্যায় বিচার পেতে সমাজ পতিতের ধারে ধারে ঘুরছেন নারী ভিক্ষুকের নিরীহ স্বামী মো. নুরুল ইসলাম।
জানা গেছে, উপজেলার ২নং পাথৈর ইউনিয়নের আটমোর মৌজার (পূর্বপাড়া) স্বর্ণকার বাড়ীর বাসিন্দা নুরুল ইসলাম স্বর্নকার পৈত্রিক সূত্রে মালিকীয় জায়গায় দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে ঘর নির্মাণ করে ভোগ দখল ও বসবাস করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি একই বাড়ীর হাফিজ মিয়া গংরা নুরুল ইসলামের বাবা মৃত: আমির হোসেনের কাছ থেকে ৪ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় সূত্রে মালিক দাবী করে প্রতিপক্ষ ২৮ নভেম্বর নুরুল ইসলামের দখলীয় দক্ষিন-পূর্ব অংশের জায়গায় জোর পূর্বক টিনসেড ঘর নির্মাণ, পাকঘর ও শৌচাগার ভাংচুর করে জোর পূর্বক চার দিকে বাশ দিয়ে বেরী দিয়ে সীমানা দখল করে। এতে বাধা দিলে নুরুল ইসলামের মেয়ে সাহিদা বেগম (৩৫) ও তার পুত্র বধূ নাজমা বেগম (২৭) কে পতিপক্ষের লোকজন মামলা করে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এসময় হামলাকারীরা সাহিদা বেগমের স্বর্ণ ও গৃহে থাকা নগদ টাকা নিয়ে যায় বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার দাবী করেন।
এ ব্যাপারে অভিযোক্ত হাফিজ মিয়ার ওয়ারিশ মনির হোসেন জানান, আমরা ক্রয়সূত্রে জায়গার মালিক হয়েছি। তাই ওই আমাদের জায়গা আমরা দখল করে ঘর নির্মাণ করেছি।
অন্যদিকে নিরীহ নুরুল ইসলামের ছেলে মো. মনির হোসেন জানান, পতিপক্ষ লোকজন চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে রেকর্ড সংশোধনী মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলা চলমান থাকা সত্বেও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের কথা অমান্য করে কাল্পনিক দাবী করে আমাদের জায়গা দখল, হামলা ও ভাংচুর চালায়। পাশাপাশি আমাদের ভিটাবাড়ী ছাড়া করার চেষ্টা ও যারা আমাদের পক্ষে কথা বলে তাদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হয়রানি করে। তিনি আরো জানান, আমাদের অর্থ না থাকায় প্রভাব খাটিয়ে আমাদের হয়রানী ও বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে সাচার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোবারক হোসেনের নির্দেশে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কচুয়া: কচুয়ার আটোমোর গ্রামে এভাবেই নীরিহ পরিবারের জায়গা বাশ দিয়ে বেরী দিয়ে দখল করে প্রতিপক্ষ লোকজন।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.