|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের টেন্ডার দুর্নীতি তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক- দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯
সুশীল চন্দ্র দাস হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের টেন্ডার দুর্নীতি তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হবিগঞ্জ এর সহকারি পরিচালক এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে দুদকের ৫ সদস্যে একটি টিম হাসপাতালে তদন্ত করে। সম্প্রতিকালে হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে দুর্নীতি হয়েছে মর্মে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। এ প্রেক্ষিতে দুদকে উধ্বর্তন কর্তপক্ষ হাসপাতালে তদন্তে নির্দেশ প্রদান করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকালে হাসপাতালে তদন্তে নামে দুদক। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের সহকারি উপ-পরিচালক মোঃ এরশাদ মিয়া জানান, সম্প্রতিকালে গণমাধ্যমে হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের ১৫ কোটি টাকা টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদগুলো আমাদের উধ্বর্তন কর্তপক্ষ পর্যবেক্ষণ করা হয়। এছাড়াও দুদকে ১০৬ নাম্বারে হবিগঞ্জ থেকে অভিযোগ করা হয়। উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা মেডিকেল কলেজে তদন্ত করতে আসি। তদন্তকালে মেডিকেলের অধ্যক্ষ ডাঃ আবু সুফিয়ানকে কলেজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও দুদক কিছুদিন পূর্বে দুদক হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ২০জন ডাক্তারের মধ্যে ৫জন ডাক্তারের হাজিরা হাসপাতাল পাওয়া যায়। তবে এ সময় ওই ৫ ডাক্তার হাসপাতালের কর্মস্থলে ছিলেন না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বইপত্র, সাময়িকী, যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয়ের জন্য ২০১৮ সালে দরপত্র আহবান করা হয়। এ লক্ষ্যে কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ আবু সুফিয়ান স্বাক্ষরিত আদেশে ফিজিওলজি বিভাগের প্রভাষক ডাঃ মোঃ শাহীন ভূইয়াকে সভাপতি করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট বাজার দর যাচাই বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। দরপত্রে অংশ নেয় ৭টি প্রতিষ্ঠান। কি মূল্যায়ন রিপোর্টে সদস্যদের স্বাক্ষর ছাড়াই ঢাকার শ্যামলী এলাকার বিশ্বাস কুঞ্জছোঁয়া ভবনের ‘নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজ’ ও মতিঝিলের মঞ্জুরি ভবনের পুনম ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে দুটি প্রতিষ্ঠানকে মালামাল সরবরাহের দায়িত্ব দেয়া হয়।
সূত্র জানায়, বরাদ্দ ছিল ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ভ্যাট ও আয়কর খাতে সরকারি কোষাগারে জমা হয় ১ কোটি ৬১ লাখ টাকা ৯৭ হাজার ৭৪৮ টাকা। মালামাল ক্রয় বাবত ব্যয় দেখানো হয় ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮১ হাজার ১০৯ টাকা। কিš‘ বাস্তবে ওই মালামালের মূল্য ৫ কোটি টাকার বেশি নয়, এমনটাই বলছে দরপত্র প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। বাকি টাকার পুরোটাই ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.