|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
হাজীগঞ্জ ছাত্রের নকল ধরায় শিক্ষককে প্রহার-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২ ডিসেম্বর, ২০১৯
খালেকুজ্জামান শামীম, হাজীগঞ্জ ( চাঁদপুর) প্রতিনিধি
হাজীগঞ্জে ছাত্রের নকলে বাধা দেয়ায় শিক্ষককে মারধর করেছে ছাত্রের অভিভাবক। ঘটনাটি ঘটেছে হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে।
জানাযায়, গত ৩০ নভেম্বর রাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরিক্ষার অংক পরিক্ষা চলছিল । সে পরিক্ষায় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো রাসেদ ও মোহাম্মদ নামের দুই ছাত্রকে নকলসহ শ্রেণি শিক্ষক এম আতিকুর রহমান হাতে নাতে ধরে।
নকল পাওয়ার পর শ্রেণি শিক্ষক এম আতিকুর রহমান কিছুক্ষন ঐ শিক্ষার্থীকে নকলের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে। পরে ছাত্র রাসেদ বলে, তার এক বড় ভাই বাহির থেকে তাকে নকল দিয়েছে। এ সময় ছাত্র শিক্ষকের সাথে কথা কাটাকাটি এক পর্যায় ছাত্র মো. রাসেদ শিক্ষক এম আতিকুর রহমানকে হুমকি দিয়ে বলে, আমি পরিক্ষায় পাশ না করতে পারলে আপনাকে দেখিয়ে ছাড়বো।
পরে শিক্ষক এম আতিকুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ ছাত্রকে দুটি চড় দেয় এবং যে নকল দিয়েছে তাকে নিয়ে আসতে নির্দেষ দেয় । ছাত্র রাসেদ পরিক্ষার হল থেকে বের হয়ে বাড়ী গিয়ে তার অভিভাবককে জানালে তারা এসে ওই শিক্ষককে বেদম প্রহার করে ।
ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষনিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ পরান শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে তা মিমাংশা করে দেন।
কিন্তু পর দিন ১ ডিসেম্বর স্থানীয় রাজারগাঁও সূর্য্য নামের সামাজিক সংগঠন শিক্ষক এম আতিকুর রহমানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। অভিযুক্ত ছাত্রকে স্কুল থেকে বহিস্কার ও তার অভিভাবকের বিচার শাস্তি দাবি জানায়।
এ বিষয়ে শিক্ষক এম আতিকুর রহমান দৈনিক বাংলার অধিকার কে বলেন , আমি মোহাম্মদ নামের এক শিক্ষার্থীর হাতে নকল পেয়ে তার পরিক্ষার খাতার সাথে তা স্ট্যাপলার করে রেখেছি। মো. রাশেদ নামের যে ছাত্র নকলটি দিয়েছে সে আমাকে হুমকি দেওয়ার কারণে তাকে দুটি চড় দিয়েছি। পরবর্তীতে তার অভিভাবক এসে আমার সাথে এ নেক্কারজনক ঘটনা ঘটায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ পরান বলেন , ঘটনাটি ঘটার পর আমি শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে বসে তা সমাধান করে দিয়েছি। পর দিন সূর্য্য নামের সামাজিক সংগঠনটি শিক্ষক এম আতিকুর রহমানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। অভিযুক্ত ছাত্রকে স্কুল থেকে বহিস্কার ও তার অভিভাবকের বিচার শাস্তি দাবি জানায়। এতে গত ১ ডিসেম্বর এর ইংরেজি পরিক্ষা বন্ধ রাখা হয়। ২ ডিসেম্বর পূনরায় পরিক্ষা শুরু হলেও বিষটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ পরান আরো জানান, আমি বিষয়টি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করি। ম্যানেজিং কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন , বিষয়টি আমি জেনেছি। এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.