|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
টেকনাফে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সোর্স রোহিঙ্গা হাসান আলীকে কুপিয়ে হত্যা -দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৩ নভেম্বর, ২০১৯
হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কক্সবাজার প্রতিনিধি, দৈনিক বাংলার অধিকার::
টেকনাফের ১৪নং ব্রীজ সংলগ্ন পাহাড়ী অঞ্চলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ও বাংলাদেশী আইন-শৃংখলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে পরিচিত হাসান আলী ওরফে কমিটি হাসানের এলোপাতাড়ি কুপানো রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
জানা যায়, ২২ নভেম্বর রাত পৌনে ৮টারদিকে উপজেলার স্থলবন্দরের উত্তর পার্শ্বে প্রধান সড়কের পশ্চিমে পাহাড়ী পাদদেশে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের সি-ব্লকের মোঃ সালামের পুত্র হাসান আলী (৩৮) প্রকাশ কমিটি হাসানের এলোপাতাড়ি কুপানো রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) এসএমএস দোহার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমে প্রেরণের জন্য নিয়ে আসে।
এই বিষয়ে ওসি (তদন্ত) এসএমএস দোহা গণমাধ্যমকে জানান,দূবৃর্ত্ত হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য বের করার চেষ্টা চলছে এবং মৃতদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে নিহত হাসান নয়াপাড়া ক্যাম্পে মোবাইলের দোকানের ব্যবসা করে এবং পাহাড়ী ডাকাত দলের হামলার ভয়ে সন্ধ্যায় দোকান বন্ধ করে টেকনাফে ভাড়া বাসায় রাত যাপন করে। প্রতিদিনের মতো আজকের যাওয়ার সময় এই ধরনের একটি রহস্যাবৃত ঘটনায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হল।
অপরদিকে নিহত হাসান ক্যাম্পের পশ্চিম পাহাড়ে অবস্থানকারী স্বশস্ত্র ডাকাত, রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠন, অপহরণকারী ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্র এবং মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের নিকট পুলিম-র্যাবের সোর্স হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সম্প্রতি ক্যাম্পে অপরাধ প্রবণতা কমাতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকায় নিহত হাসানকে সোর্স হিসেবে চিহ্নিত করে। তাকে যেকোন বিনিময়ে প্রাণনাশের জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছিল সংঘবদ্ধ চক্রটি। হয়তো তারাই মোটাংকের বিনিময়ে অথবা নিজেরাই সোর্স হাসানকে খুন করে পথের কাঁটা দূর করে দিয়েছে বলে লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছে।
নিহতের স্ত্রী রফিকা দাবি করেছে, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী জকির তার স্বামীকে হত্যা করেছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ তার স্বামীকে হত্যা করতে সে মরিয়া হয়ে উঠেছিল।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.