|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ইউরোর ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ৭ গোল, মাইলস্টোন মূলপর্বে ইংল্যান্ড মাইলস্টোন -দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৮ নভেম্বর, ২০১৯
লন্ডন: সহস্রতম আন্তর্জাতিক ম্যাচ স্মরণীয় হয়ে রইল ইংল্যান্ডের জন্য। গ্রুপ-‘এ’র শীর্ষে থেকেই ইউরোর মূলপর্ব নিশ্চিত করল ইংল্যান্ড। বৃহস্পতিবার গ্রুপ পর্বের সপ্তম ম্যাচে মন্টেনেগ্রোকে সাত গোলের মালা পরিয়ে ইউরোপ সেরা টুর্নামেন্টের টিকিট নিশ্চিত করল বিশ্বকাপে চতুর্থ স্থানাধিকারীরা। যা ১৯৮৭ পর হোম ম্যাচে তাঁদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। সৌজন্যে অধিনায়ক হ্যারি কেনের হ্যাটট্রিক। এছাড়াও গোলের খাতায় নাম তুললেন অক্সলেড চেম্বারলেন, মার্কাস র্যাশফোর্ড ও ট্যামি আব্রাহাম। একটি গোল আত্মঘাতী।
ওয়েম্বলিতে এদিন ম্যাচের ১১ মিনিটে গ্যারি সাউথগেটের দলের হয়ে গোলের লকগেট ওপেন করেন চেম্বারলেন। দু’বছরেরও বেশি সময় বাদে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নেমেই বক্সের মধ্যে কোনাকুনি শটে বল জালে রাখেন লিভারপুল মিডফিল্ডার। তাঁর গোলের বলটি যদিও সাজিয়ে দিয়েছিলেন বেন চিলওয়েল। চেম্বারলেনের পর অধিনায়ক হ্যারি কেনকে দিয়ে জোড়া গোল করিয়ে এদিন নজির গড়লেন লেস্টার সিটি ডিফেন্ডার। ২০০৯ পর প্রথম ইংরেজ ফুটবলার হিসেবে একইম্যাচে তিনটি অ্যাসিস্ট করার নজির গড়েন চিলওয়েল।
১৮ থেকে ২৪, মাত্র ছয় মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে মন্টেনেগ্রোকে ম্যাচ থেকে যোজন দূরে ঠেলে দেন কেন। একইসঙ্গে জাতীয় দলের জার্সিতে গোল করার নিরিখে টম ফিনে, ন্যাট লোফথাউজ ও অ্যালান শিয়ারারকে ছুঁয়ে ফেলেন টটেনহ্যাম স্ট্রাইকার। ২৬ মিনিটে মন্টেনেগ্রোর একটি দুরন্ত প্রয়াস প্রতিহত হয় ইংরেজ গোলরক্ষক পিকফোর্ডের দস্তানায়। এর ঠিক চার মিনিট বাদে ইংল্যান্ডের হয়ে স্কোরশিটে নাম তোলেন ম্যান ইউ স্ট্রাইকার মার্কাস র্যাশফোর্ড। ক্লাব সতীর্থ হ্যারি ম্যাগুয়ারের পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক হেডার মন্টেনেগ্রো গোলরক্ষক প্রতিহত করলে ফিরতি বল নিজের দখলে নিয়ে জালে জড়ান র্যাশফোর্ড।
সাত মিনিট বাদে আলেকজান্ডার আর্নল্ডের ডানপ্রান্তিক ক্রস বক্সে দক্ষতার সঙ্গে ট্র্যাপ করে বিপক্ষ গোলরক্ষককে পঞ্চমবারের জন্য পরাস্ত করেন দলনায়ক। একইসঙ্গে দলের মাইলস্টোন ম্যাচে ব্যক্তিগতভাবে একটি মাইলস্টোন নিজের নামে করে নেন টটেনহ্যাম ফরোয়ার্ড। প্রথম ইংরেজ ফুটবলার হিসেবে অভিজাত ওয়েম্বলিতে টানা দু’ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার নজির গড়েন কেন। এর আগে সেপ্টেম্বরে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে ওয়েম্বলিতে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। একইসঙ্গে ক্যাপ্টেন আর্মব্যান্ডে ২৪তম গোল করেও নজির গড়েন কেন।
প্রথমার্ধেই পাঁচ গোলে এগিয়ে যাওয়া ইংল্যান্ড প্রতিপক্ষের কফিনে আরও জোড়া পেরেক পোঁতে দ্বিতীয়ার্ধে। ৬৬ মিনিটে আত্মঘাতী গোল ও ম্যাচ শেষের ৬ মিনিট আগে চেলসি স্ট্রাইকার ট্যামি আব্রাহামের গোলে সাত গোলের বৃত্ত সম্পূর্ণ হয় ইংল্যান্ডের। একইসঙ্গে ৭ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করে গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবেই ইউরোর মূলপর্ব নিশ্চিত করে হ্যারি কেন অ্যান্ড কোম্পানি।
অন্য ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও মলডোভার বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জয় তুলে নিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। দলের হয়ে গোলদুটি করেন রাফায়েল ভারানে ও অলিভিয়ের জিরু। ফ্রান্সের প্রথম গোল নিয়ে বিতর্কের অবকাশ থাকলেও ম্যাচ জিতে গ্রুপ-‘এইচ’ থেকে ইউরোর মূলপর্ব নিশ্চিত করল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.