|| ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
লক্ষ্মীপুরে ৬ দিনেও খোঁজ মিলেনি মিল্ক ভিটা শ্রমিকের-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১ আগস্ট, ২০১৯
মো: আবদুল কাদের,দৈনিক বাংলার অধিকার,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের দুগ্ধ উৎপাদন কারখানার (মিল্ক ভিটা) শ্রমিক মামুন হোসেন মাতাব্বর (২৮) নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার (২৭ জুলাই) থেকে তাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় রামগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়। এদিকে ৬ দিনেও কোন খোঁজ না পাওয়ায় চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছে নিখোঁজের পরিবার।
মামুন হোসেন মাতাব্বর জেলার রায়পুর উপজেলার উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মাতাব্বর বাড়ির মৃত. মাইন উদ্দিনের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদন কারখানা (মিল্ক ভিটা) রামগঞ্জ শাখায় মিক্সার সহকারি হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ৪ বছর ধরে মামুন এই কারখানায় শ্রমিক হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। সে কারখানাটির অভ্যন্তরের একটি কক্ষে থাকতেন। গত শনিবার (২৭ জুলাই) কেন্দ্রটির অন্য এক শ্রমিক প্রতিষ্ঠানটির প্রধান গেইট খোলা দেখতে পান। কিন্তু মামুন কারখানা ও তার রুমে নেই। পরে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে মামুনকে ভদ্র ও ভালো ছেলে আঙ্খা দিয়ে কারখানাটির প্রহরী তাজুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজের আগের দিন রাতে অফিস ত্যাগ করার সময় মামুনকে তার নিজ কক্ষেই দেখেছেন তিনি। তবে গত কয়েক মাস থেকে মামুন মাতাব্বর এলোমেলো ও ভান্ডারীদের মতো চলাফেরা করতেন বলেও জানান এই প্রহরী।
কেন্দ্রটির তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, মামুনকে খোঁজে না পাওয়ায় বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাদের পরামর্শ ক্রমেই রোববার (২৮ জুলাই) রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
এ দিকে চরম উৎকন্ডায় রয়েছেন নিখোঁজের পরিবার ও স্বজনরা। তারা মামুনকে খোঁজে দিতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন বড় কোন দূর্ঘটনার। কারন সম্প্রতি উপজেলার উত্তর নাগমুদ এলাকা থেকে নিখোঁজ এক যুবকের মাটিচাপা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মামুনের ক্ষেত্রে এমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান স্থানীয়রা। তারা দ্রুত মামুনকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ফজলুল হক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই তদন্ত অব্যহত রয়েছে। পুলিশ চেষ্টা করছে মামুন হোসেন মাতাব্বরকে দ্রুত তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.