|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
লক্ষ্মীপুরে ড্রাগ সুপারের অর্থ বাণিজ্য,দেড় হাজার টাকার ড্রাগ লাইসেন্স পয়ত্রিশ হাজার !-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৭ জুলাই, ২০১৯
মো: আবদুল কাদের,দৈনিক বাংলার অধিকার,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
বৈধভাবে ফার্মেসী ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজন ড্রাগ লাইসেন্স। আর সেটি সংগ্রহ করতে হয় ঔষধ তত্বাবধায়ক কার্যালয় থেকে। এ সুযোগে প্রতিটি লাইসেন্সের জন্য গ্রাহকদের থেকে ২০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন লক্ষ্মীপুর ড্রাগ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মো: ফজলুল হক। নির্দিষ্ট টাকা দিতে কেউ অপরাগতা প্রকাশ করলে, শিকার হন নানা হয়রানির আর বঞ্চিত হন লাইসেন্স থেকে।
স্থানীয়রা বলেন, ড্রাগ সুপারকে ম্যানেজ করে ফার্মেসী মালিকগণ দিচ্ছেন সকল রোগের চিকিৎসা। এতে করে অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছেন রোগীরা। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি নন জেলা ঔষধ তত্বাবধায়ক কার্যালয়ের এই কর্মকর্তা।
জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ঔষধ প্রশাসনের কাছ থেকে ড্রাগ লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হয়। তার জন্য প্রয়োজন ফার্মাসীষ্টের অঙ্গীকারপত্র ও ফার্মেসী কাউন্সিল থেকে ৬ মাস মেয়াদি কোর্সের সনদপত্রসহ অন্যানো কাগজপত্র। এছাড়া লাইসেন্সের জন্য সরকারি ফি হচ্ছে, পৌর এলাকার জন্য ২ হাজার ৫’শ ও ইউনিয়ন গুলোতে ১ হাজার ৫’শ টাকা। তাছাড়া প্রতি দুই বছর পর পর নবায়ন করতে হয় লাইসেন্সটি। এর জন্য পৌর এলাকায় ১৮’শ এবং ইউনিয়নগুলোর ফার্মেসীর ক্ষেত্রে ৭’শ টাকা ফি নির্ধারিত। কিন্তু এসব নিয়মগুলো অনিয়মে পরিনত হয়েছে লক্ষ্মীপুরের ড্রাগ সুপারের অর্থ বাণিজ্যর কারনে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ফার্মেসী পরিচালকগণ কোন ডিগ্রী না নিয়ে সকল রোগের চিকিৎসা প্রদান ও ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ঔষধ বিক্রি করায় প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা। আর সবগুলোই ড্রাগ সুপারকে ম্যানেজ করেই করছেন তারা।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন ফার্মেসী মালিক বলেন, লাইসেন্স করতে ২০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা দিতে হয় ড্রাগ সুপারকে। নির্দিষ্ট এই টাকা না দিলে নানা হয়রানির শিকার হতে হয়, প্রায় সময় বঞ্চিত হতে হয় লাইসেন্স প্রাপ্তি থেকে। তাই লাইসেন্স বিহীন ব্যবসা করে যাচ্ছেন অনেক মালিকগণ। তবে সকল রোগের চিকিৎসা নয়, নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করছেন বলে তারা দাবি করেন।
এদিকে এসব অনিয়মের বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি নয় লক্ষ্মীপুর ঔষধ তত্বাবধায়কের কার্যালয়ের ড্রাগ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মো: ফজলুল হক।
কথা হয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আইয়ুর হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, যদি কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারি অনিয়ম করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তাছাড়া লক্ষ্মীপুরের অনিয়মের বিষয়েও তথ্য প্রমান সহকারে অভিযোগ পেলে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.