|| ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
গাইবান্ধার জনি শেখ ঢাকায় সিআইডির হাতে গ্রেফতার-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৫ জুলাই, ২০১৯
রাকিবুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীর ছেলে ফটোগ্রাফার জনি শেখ ঢাকায় নারীদের ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে ২৪ জুলাই বুধবার রাতে ঢাকার মিরপুর থেকে সিআইডি তাকে গ্রেফতার করে। আটককৃত জনি (২২) পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের হরিনমারী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। সে "ফটোগ্রাফি এন্ড সিনেমাটোগ্রাফি" নামক প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী। জনির পিতা স্থানীয় একটি মটর পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সদস্য। সে সদরের পরিবহন কাউন্টার ব্যবসায়ী।
স্থানীয়রা জানান, পলাশবাড়ীতে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করেন শেখ জনি। দেখতে সুন্দর ও পোষাকের নিত্যনতুন ভঙ্গিমায় নিজেকে তুলে ধরার পাশাপাশি ছোট থেকেই জনির ব্যবহার অত্যান্ত খারাপ ছিলো। জনি ঢাকায় এসে একটি সুনামধন্য ফটোগ্রাফি ও মিডিয়া কন্ডেক প্রতিষ্ঠানে কাজ শেখে। বেশ কিছু সময় ধরে কাজ শিখে পড়ে নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান দাড় করান। অনলাইন ভিক্তিক কর্মপরিকল্পনায় যুক্ত ছিলো সে। সে নিজেকে ফিল্যান্সার হিসেবে দাবী করেন। তার এ প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছু ভদ্র ও উচ্চ পরিবারের ছেলে মেয়েদের ফটোগ্রাফি বিষয়ে আকৃষ্ট করে তাদের প্রশিক্ষণ ও কাজ শেখার কাজ সে চালাত। এভাবে তার কর্মের মাঝে সে ঢাকায় একটি মেয়েকে ব্ল্যাকমেইল করার অপরাধে সিআইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে।
সিআইডি সূত্রে জানা যায়, যে অভিযোগে আসামী শেখ জনি প্রথমে তার নিকট ফটোগ্রাফী শিখতে আসা অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক নারী শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে তাদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফ্রেন্ড লিস্টে যুক্ত হয় এবং এর পর মেসেজ ও ছবি পাঠিয়ে তাদের সাথে বন্ধুত্বের আন্তরিকতা সৃষ্টি করে ।
সম্পর্কটি গাঢ় হওয়ার পরই সে বিভিন্ন অশ্লীল , নগ্ন ও আপত্তিকর পর্ণ ছবি পাঠানো শুরু করে এবং ওই সব ছবি ও তাদের মেসেজে কথাবার্তা প্রকাশ করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে কোমলমতী কিশোরী মেয়েদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব জানায়। তার এরূপ আচরণে সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে একজন ভিকটিম তার নামে মামলা রুজু করলে সাইবার পুলিশ সেন্টারের একটি টিম শেখ জনি কে মিরপুর হতে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী জনি শেখ তার কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেন এবং তার নিকট হতে জব্দকৃত মোবাইল অনুসন্ধান করে বিভিন্ন অশ্লীল , নগ্ন ও আপত্তিকর পর্ণ ছবি ও বিভিন্ন অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক মেয়েদের সাথে কথোপকথনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
আরো জানা যায় যে, উক্ত অপরাধে প্রচলিত আইনে উক্ত সাইবার অপরাধে আসামী শেখ জনির সর্বোচ্চ ৭ (সাত) বছরের জেল এবং এর সাথে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.