|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ছেলেধরা সন্দেহে গনপিটুনিতে নিহত রেনু হত্যার বিচার দাবিতে রায়পুরে মানববন্ধন-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৩ জুলাই, ২০১৯
মো: আবদুল কাদের,দৈনিক বাংলার অধিকার,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
রাজধানীর বাড্ডায় প্রকাশ্য দিবালোকে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে প্রাণ হারানো তাসলিমা বেগম রেনু (৪০) হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে শত মানুষের ভিড়ে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর-ফরিদগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজপথে দাঁড়িয়েছে চার বছরের অবুঝ শিশু তাসনিম তুবাও রায়পুরের সর্বস্তরের জনগন।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর-রায়পুর সড়কের প্রাইম ব্যাংকের সামনে রেনু হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে লক্ষ্মীপুরের রাযপুরের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। এসময় সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে তার মার হত্যার বিচার চেয়ে অবুঝ শিশু তুবা চারদিকে শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রায়পুর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মারুফ বিন জাকারিয়া, পৌর যুবলীগ নেতা হোসেন সরর্দার, তানভীর কামাল, স্বেচ্ছাসেবলীগ নেতা জাকির হোসেন প্রমূখ। এ কর্মসুচিতে অংশ নেয় বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার সর্বস্তরের মানুষ।
এসময় বক্তারা বলেন, ছেলে ধরা গুজবেই তাসলিমা বেগম রেনুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাসলিমা বেগম রেনু ছিল একজন ভালো প্রকৃতির মানুষ। কিন্তু তাকে আজ এইভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হবে, এটা কোন সভ্য সমাজে হতে পারেনা।
এ হত্যাকারীদের দ্রুত চিহিৃত করে গ্রেফতার ও বিচারের দাবী জানান তারা। এসময় পরিবারের লোকজন গুজব ছড়িয়ে মানুষ হত্যার বিচারের দাবী জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুলাই শনিবার সকালে ঢাকার উত্তর পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তাসলিমা বেগম রেনুকে প্রকাশে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। মেয়েকে ভর্তির জন্য ওই স্কুলে খোঁজ নিতে গিয়ে কথাবার্তায় সন্দেহ হলে গুজবেই লোকজন জড়ো হয়ে ছেলেধরা বলে পিটুনি দিলে মারা যায় তাছলিমা বেগম রেনু।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর সোনাপুর গ্রামে রেনুর বাড়ি। তুবা এখন খালাদের সঙ্গে রয়েছে। রোববার রাতে রেনুর নামাজের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.