|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
টাঙ্গাইলের তারাকান্দি-ভূঞাপুর সড়কের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করলেন পানি সম্পদ সচিব-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৯ জুলাই, ২০১৯
মো: আ: হামিদ টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:-
টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুরর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর উপজেলার টেপিবাড়ী সড়কের ভাঙন ও ভাঙন কবলিত বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার।
আজ শুক্রবার (১৯ জুলাই) সকালে ওই ভাঙন কবলিত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, ভূঞাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আব্দুল হালিম (এ্যাডভোকেট), গোপলপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদার (ঠান্ডু), ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝোটন চন্দ, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ সহ স্থানীয় জনপ্রনিধি।
ভাঙন এলাকা পরিদর্শনকালে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার সাংবাদিকদের জানান, যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে এ উপজেলার শতাধিক গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ভূঞাপুর উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী গোপালপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতীর উপজেলার কয়েকশ গ্রাম। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও পুকুরের মাছসহ অন্যান্য ফসল। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পানিবন্দি পরিবারগুলো। আর এ পানিবন্দি মানুষগুলো রাস্তার উঁচু স্থানে ঠাঁই নিয়েছে। সার্বিক সহযোগিতার জন্য কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝোটন চন্দ জানান, যমুনায় বন্যা কবলিতদের দূর্ভোগ লাঘবের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধির ফলে অর্জুনা ইউনিয়নের তাড়াই বাঁধ ভূঞাপুর পৌরসভার ভূঞাপুর-তাড়াকান্দি সড়কের টেপিবাড়ীর অংশ ভেঙে গেছে। এছাড়া ভাঙন অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।
গত বুধবার (১৭ জুলাই) রাত ১২টার দিকে এই ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের পাশে তাড়াই গ্রামের রাস্তা ও পরের দিন বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরের দিকে টেপিবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের পাড় ভেঙে গিয়ে ১০টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়।
এরপর একইদিনে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে টেপিবাড়ি এলাকার বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাত ৮টার দিকে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক ভেঙে গিয়ে সব ধরণের যানবাহন চলাচল ও যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সড়ক ভাঙনের ফলে দ্রত সময়ে কয়েকটি উপজেলার প্রায় কয়েক’শ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নজরদারি ও ভাঙনরোধে দ্রুত কার্যকর কোনো প্রদক্ষেপ গ্রহণ ন্ করায় এমনটি হয়েছে। অন্যদিকে গ্রামবাসীরা নিজের উদ্যোগে বাঁধ চেষ্টা করেও বাঁধটি রক্ষা করতে পারেনি। অপর দিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানি বন্দি ও বন্যার্তদের মাঝে ২০০ মেট্রিক টন চাল বিতরণের কথা জানালেও অধিকাংশ বানভাসি মানুষ ত্রাণ না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশও করেছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, ভূঞাপুরে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৯১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পরিস্থিতি শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন অংশে ভাঙনরোধে জিওব্যাগ ফেলানোর কাজ অব্যাহত আছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.