|| ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ে প্রায় ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে আনারম চাষ-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৮ জুলাই, ২০১৯
মো: আ: হামিদ টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:-
টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ের ‘হানিকুইন’ আনারসের বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। তখন থেকেই এলাকার বাজারে প্রায় একই সঙ্গে এসেছে ‘জলডুগি’ আনারস। কিন্তু গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টিতে কৃষকরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। পুরোদমে বাজারজাতকরণের এই সময়ে টানা বৃষ্টি দ্রুত পচনশীল আনারস ঠিকঠাক বিপণন করা যাবে কি না, তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।মধুপুরের আনারসচাষি ও কৃষিবিদদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের বিশেষ ভৌগোলিক এলাকা মধুপুর গড়ে প্রায় ২৮ হাজার একর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে এবার।কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যমতে, মধুপুর গড় এলাকার লক্ষাধিক পরিবার আনারস আবাদ, পরিবহন, বিপণন, প্রক্রিয়া ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে জড়িত।কৃষিবিদরা জানান, মধুপুরে সাধারণত ‘ক্যালেন্ডার’ জাতের আনারসের চাষ হয় বেশি। ২০১৪-১৫ সালে এলাকার কিছু চাষি ‘জলডুগি’র আবাদ শুরু করেন। বান্দরবানসহ পার্বত্যাঞ্চল থেকে এসবের চারা নিয়ে আসা হয়।জলডুগির বিশেষত্ব হলো এটি মধুপুরের প্রচলিত আনারসের চেয়ে ফলন আসে দ্রুত। বাগানের সব আনারস পাকেও প্রায় একসঙ্গেই। ফলে চাষিরা সেগুলো একসঙ্গে বাজারে তুলতে পারেন।নব্বইয়ের দশকে স্নাতক করা আনারসচাষি ছানোয়ার নিজেকে কৃষক পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তিনি নিজের জলডুগি আনারসের বাগান ঘুরিয়ে দেখান এ প্রতিবেদককে। কয়েক দিন আগে তার দুর্লভ ফল-ফসলের আবাদ দেখতে এসেছিলেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। ছানোয়ার হোসেন বললেন, কয়েক দিন একটানা বৃষ্টি হওয়ায় আমাদের মাথায় হাত। এতে ফল দ্রুত পাকছে, তাই বাজারে আনারসের সরবরাহ বেশি কিন্তু দাম অনেক কম।মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, জুলাই-আগস্ট মাসে একসঙ্গে পেকে যাওয়ায় ক্রেতার অভাবে দাম কম হয়।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের উপপরিচালক আবদুর রাজ্জাক টানা বৃষ্টিতে আনারসচাষিদের লোকসান হতে পারে স্বীকার করে বলেন, আনারস বিদেশে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকদের তালিকা হচ্ছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.