|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
নওগাঁর সাবেক ডিসি মিজানুর রহমানের বিদায় ও নবাগত ডিসি হারুন-উর-রশিদের বরণ অনুষ্ঠিত-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৫ জুলাই, ২০১৯
সোহেল চৌধুরী রানা, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: একই পদের দুই কর্মকর্তা। একজন এলেন অপরজন চলে গেলেন। এমন এক মুহূর্ত নিয়ে নওগাঁয় সদ্য বদলি হওয়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) মিজানুর রহমানের বিদায় ও নবাগত ডিসি হারুন-উর-রশিদের বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিদায়ী জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের অনুপ্রেরণায় গঠিত ১৪টি স্বেচ্ছাসেবী ফোরাম যৌথভাবে শুক্রবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান। এতে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. কামরুজ্জামান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও জেলা পাঠক ফোরামের সভাপতি শরিফুল ইসলাম খান, সামাজিক ইনোভেশন টিমের সাধারণ সম্পাদক ও নওগাঁ বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শরিফুর রহমান প্রমুখ। বিদায়ী ও নবাগত জেলা প্রশাসককে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে নবাগত জেলা প্রশাসক হারুন-উর-রশিদ সাবেক জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের বিশেষ উদ্যোগগুলো চালু রাখার ঘোষণা দেন এবং নওগাঁর উন্নয়নে তিনি স্থানীয় নাগরিক সমাজের পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করেন।
বিদায়ী জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের চালু করা সবচেয়ে সাড়া জাগানো উদ্যোগ হচ্ছে ‘সুস্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশের জন্য হাঁটা কর্মসূচি’। নওগাঁয় কর্মরত থাকা অবস্থায় স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার ভোরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সচেতন বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে হাঁটতেন। হাঁটার পাশাপাশি রাস্তায় পড়ে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করতেন। এই কর্মসূচি স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলে। নবাগত জেলা প্রশাসক নওগাঁয় যোগদানের পরেই সাবেক জেলা প্রশাসকের এই বিশেষ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। শুক্রবার ভোরে বিদায়ী ও নতুন ডিসি একসঙ্গে সুস্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশের জন্য হাঁটা কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মিজানুর রহমান নওগাঁয় জেলা প্রশাসক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় নওগাঁর উন্নয়ন ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বেশ কিছু বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। মাদক, বাল্যবিয়ে, সন্ত্রাসসহ স্থানীয় বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে নাগরিকদের অংশগ্রহণে সামাজিক ইনোভেশন টিম গড়ে তোলেন। এছাড়া সরকারের উন্নয়নে সকল নাগরিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গড়ে তোলেন যুব উদ্যোক্তা ফোরাম ও আইসিটি ফোরাম। শিক্ষার উন্নয়নে ক্রিয়েটিভ টিচার্স ফোরাম, ভলেন্টিয়ার টিচার্স ফোরাম, পাঠক ফোরাম, আইসিটি শিক্ষক ফোরাম ও সেন্টার ফর কোয়ালিটি এডুকেশন সংগঠন গড়ে তোলেন। মিজানুর রহমানের নির্দেশনায় এসব সংগঠনের সদস্যরা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অবদান রেখে চলেছেন।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.