|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলে সহ ৭ জন হত্যায় টাঙ্গাইলের মাহবুবুরের ফাঁসি রায়-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৭ জুন, ২০১৯
মো: আ: হামিদ টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:-
মুক্তিযুদ্ধের সময় দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলেসহ সাতজনকে হত্যার ঘটনায় টাঙ্গাইলের মাহবুবুর রহমানের ফাঁসির রায় দিয়েছেন যুদ্ধাপরাধ আদালত। আজ বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
৭০ বছর বয়সী আসামি মাহবুবুর একাত্তরে মির্জাপুর শান্তি কমিটির সভাপতি বৈরাটিয়া পাড়ার আবদুুল ওয়াদুদের ছেলে। মাহবুবুর ও তার ভাই আবদুুল মান্নান সেসময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়ে যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান, তা উঠে এসেছে এ মামলার বিচারে।
২৩৫ পৃষ্ঠার রায় ট্রাইব্যুনাল বলেছে, আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা তিনটি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন, হত্যা- গণহত্যার ওই তিন অভিযোগেই মাহবুবুরকে সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৮শে মার্চ মো. মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ওই বছরের ১১ই ফেব্রুয়ারি এই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর গত বছরের ২রা নভেম্বর মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত সংস্থা। আসামি মাহবুবুর রহমানের বাবা আবদুুল ওয়াদুদ মুক্তিযুদ্ধের সময় মির্জাপুর শান্তি কমিটির সভাপতি ছিলেন। মাহবুবুর রাহমান ও তার ভাই আব্দুল মান্নান সে সময় রাজাকার বাহিনীতে ছিলেন।
রণদা প্রসাদ সাহার পৈতৃক নিবাস ছিল টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। সেখানে তিনি একাধিক শিক্ষা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এক সময় নারায়ণগঞ্জে পাটের ব্যবসায় নামেন রণদা প্রসাদ সাহা। থাকতেন নারায়ণগঞ্জের খানপুরের সিরাজদিখানে। ওই বাড়ি থেকেই তাকে, তার ছেলে ও অন্যদের ধরে নিয়ে যান আসামি মাহবুবুর রহমান ও তার সহযোগীরা।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.