|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
শাহরাস্তিতে রাস্তার জায়গা বের করতে ঘর ভাংচুর, আহত-১-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২২ জুন, ২০১৯
হাসানুজ্জামান, চাঁদপুর থেকেঃ চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বসত বাড়িতে চলাচলের জন্য রাস্তা তৈরী করতে গরু ঘর ভাংচুর করেছে এক পুলিশ সদস্য। এতে প্রতিবাদী পরিবারের একজন আহত হন। ঘটনাটি গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামে ঘটে। জানা যায়, ওই গ্রামের ছোয়ানী বাড়ির মৃত হাজ্বী আবদুল হাকিমের পুত্র মোঃ সফিউল্লাহ্ পুলিশে চাকুরী করেন। গত সপ্তাহে ছুটিতে এসে বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা বের করতে গিয়ে একই বাড়ির মৃত আবদুল কাদেরের পুত্র মোঃ মফিজুল ইসলামের গরু ঘর ভাংচুরসহ গরু ঘরের ভিটি কেটে ফেলেন। এসময় মফিজুল ইসলামের পুত্র ফারুক আহমেদ বাধা দিলে উভয়ের মাঝে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হলে এতে ফারুক গুরুতর আহত হয়।
এব্যাপারে আহতের পিতা মফিজুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পূর্বেই পুরো বাড়ির জায়গা পরিমাপ করে সবাই সবার টুকু বুঝে নিয়েছেন। আমার জায়গার উপর দিয়ে বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা তৈরী করি। সফিউল্লারা তাদের জায়গার উপর ঘর তৈরী করেছে। অথচ বাড়িতে প্রবেশের পথ রাখেনি। এতো বছর তারা আমার জায়গায় তৈরী রাস্তা দিয়েই বাড়িতে আসা যাওয়া করেছে। ঘটনার দিন হঠাৎ পাগলের মত আমার জায়গায় তোলা গরু ঘরটি ভাংচুরসহ ভিটির মাটি কেটে বিভ্রাট সৃষ্টি করে। এসময় আমার ছেলে ফারুক বাধা দিলে সফিউল্লার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে তার মাথায় সজোরে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। আমি বিভ্রাট বিপত্তি চাইনা, সফিউল্লাহ্ তার জায়গা আবারও পরিমাপ করে বুঝে নিক। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। এমন ক্ষতির জন্য সমাজবাসীর কাছে সুষ্ট বিচার প্রার্থনা করেন তিনি। আহত ফারুক বলেন, আঘাতকারী সফিউল্লাহ্ পুলিশে চাকুরী করেন, তাই ওনার অনেক ক্ষমতা। তিনি কথায় কথায় হুমকি দেন। ফোন করে পুলিশে ধরিয়ে দিবেন। আমরা তার ভয়ে ভয়ে থাকি। তবু ওনার এমন আচরনে আমরা প্রতিবাদ করি না। বাড়ি মানুষ হিসেবে মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করি কিন্তু তিনি পুলিশে চাকুরী করেন বিধায় কাউকে তোয়াক্কা করেন না। এবিষয়ে সফিউল্লাহ্ বলেন, আমি পুলিশে চাকুরী করি। বর্তমানে চট্টগ্রাম কারাগারে কারারক্ষি হিসেবে আছি।
আজ অনেক বছর বাড়িতে আসার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন মফিজুল ইসলাম। বহুবার বলার পরও তিনি রাস্তা উন্মোক্ত করেন নি। তাই ঘটনার দিন সকালে রাস্তা উন্মোক্ত করতে তাদের গরু ঘরের পশ্চিম অংশ ভেঙ্গে এবং মাটি কেটে ফেলি। আমি যা করেছি তা অপারগ হয়েই করেছি। এলাকাবাসী বলেন, তাদের বাড়ির সম্পত্তিগত সমস্যা বহু আগেই শেষ হয়েছে। এখন যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সফিউল্লাহ্ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানাতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে আইন নিজ হাতে তুলে নিলেন। যা একজন পুলিশ সদস্য হিসেবে তার করা উচিত হয়নি বলে তারা জানান।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.