|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
বগুড়ায় পুলিশের সাথে কথিত বন্দুক যুদ্ধে গুলি বৃদ্ধ রনি নিজের কাটা পা দেখে মৃত্যুর কোলে-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৮ জুন, ২০১৯
বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ায় ডিবি পুলিশের সাথে কথিত বন্দুক যুদ্ধে আব্দুল্লাহ আল জোনায়েদ ওরফে রনি ওরফে বি ক্লাশ রনি (৩৪) অবশেষে মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে হেরে গেল। ঘটনার প্রায় ৫দিন পর মঙ্গলবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে বগুড়া শহরের আদর্শ কলেজ এলাকায় এই পুলিশের সাথে কথিত বন্দুক যুদ্ধে সে পায়ে গুলিবৃদ্ধ হয়।
তার পুরা নাম আব্দুল্লহ আল জোনায়েদ ওরফে রনি সে শহরের সুলতানগঞ্জপাড়া হাকির মোড় এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ এর ছে্েরল ।
তার নামে সদর থানায় অস্ত্র,মাদক,নারী নির্যাতন,চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৮টি মামলা রয়েছে বলে ইতি পূর্বে পুলিশের সূত্রে দাবী করা হয় ।
উল্লেখ্য , ইত্ব পূর্বে বগুড়া পুলিশের একটি ওয়েভসাইট এর এক তথ্য মতে উল্লেখ করা হয় যে, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইন্সপেক্টর আসলামের নের্তৃতে বগুড়া জেলা ডিবি পুলিশের একটি টহল শহরের আদর্শ কলেজের সামনে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সেখানে পুলিশও পালটা গুলি চালায় । পরে সেখানে গিয়ে আহত অবস্থায় রনিকে পায়ে গুলি বৃদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ । পরে তাকে দ্রুত শজিমেক হাসপাতালে নেয়া হয় ।
পুলিশ আরো দাবী করে ,এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান,তিন রাউন্ড গুলি এবং একটি ধারালো চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রনির অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে অস্ত্রপ্রচারে রনীর একটি পা কেটে বাদ দিতে বাধ্য হন কর্তব্যরত সার্জনরা ।
অপরদিকে ,নিহত রনির একটি নিকটজনদের মাধ্যমে জানা যায় , ঘটনার ৫দিন পর শারীরিক উন্নতির কারনে মঙ্গলবার সকালে রনির জ্ঞান ফিরে আসে । এসময় তাকে বেডে উঠে বসতে বলা হয় । এসময় সে নিজেকে একটি পা বিহীন অবস্থায় দেখতে পেয়ে আবারো জ্ঞান হারায় এবং মারা যায় ।
হাসপাতালের বরাত দিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা আরো জানান, পা বিহীন অবস্থায় নিজেকে দেখতে পেয়ে রনি হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেলে তারা মৃত্যু হয় বলে তাদের ধারনা । শেষ খবর পর্যন্ত তার মরদেহ বগুড়ার পথে ছিল
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.