রাজশাহী ব্যুরো চীফঃ
যুবলীগ সভাপতি এমদাদুল হকের দাবী প্রশাসন ম্যানেজ করেই পুকুর খনন করা হচ্ছে। পুকুর খননকারী ব্যাক্তিরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করেও কোন সুফল পাচ্ছেন না।
সরেজমিনে পুকুর খননের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সংবাদ কর্মিদেরকেও নানাবিধ ভয়ভিতি দেখানো হচ্ছে। অনেকেই আবার সরকার দলীয় সমর্থক হওয়ায় অতিদর্পে বলছেন, সাংবাদিক কেন; প্রশাসনও আমাদের কিছু করতে পারবেনা।
এদিকে, বেওয়া কবির মন্ডল জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন,পুকুর খননের জন্য কোনো জমি আমরা দেইনি জোরপূর্বক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পুকুর খনন করছে এতে আমাদের আশপাশের ফসলি জমিগুলো জলাবদ্ধতার মধ্যে পড়বে এবং আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়বো আরো অভিযোগ আছে তিন বিঘা ধানি জমির উপর দিয়ে কৃষকের রহমতে অমতে পুকুর খনন করছে!
গত ২৮ মার্চ (রবিবার) দুপুরে জেলা পুলিশের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘটনাস্থলে এসে দুইজনকে আটক করার পরে রহস্যজনক ভাবে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, এভাবেই ফসলি জমি কেটে চলছে পুকুর খনন। গ্রামের সাধারণ মানুষ এতে বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেখানো হচ্ছে। গ্রামবাসীরা তাই মুখ খুলতে সাহস পান না। ভূক্তভূগী এলাকাবাসী তাই, পুকুর খননকারী সিন্ডিকেটের হাত থেকে জমি বাঁচাতে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউ এন ও মোঃ শাহাদৎ হোসেন বলেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এর সত্যতা পেয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি পুকুর খনন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।