মোঃ ইমান হোসাইন
চাঁদপুর প্রতিনিধি
বিশ্বে আজ এক মহাতঙ্কের নাম কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু বরন করেছে প্রায় ৫০,০০০ মানুষ। দিন দিন মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে।ইউরোপ, আমেরিকার এই মিছিলের অগ্রভাগে ছুটছে।সারা পৃথিবীতে আজ নিস্তব্ধতা বিরাজমান, থমকে গেছে তাবত পৃথিবীর অর্থনীতির চাকা।আপামর জনতা আজ চরম আতঙ্কের মাঝে দিনাতিপাত করছে। বাংলাদেশেও কচ্ছপ গতিতে হলেও হাটি হাটি পা পা করে বেড়ে চলছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তার সাথে সাথে বেড়ে চলছে মানুষের অঘোষিত উৎকন্ঠা। শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ের সকল জায়গায় বিরাজমান চিমচাম নিরবতা,তার সাথে সদ্য উন্নয়নশীল এ দেশের নিন্ম ও নিন্ম মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ চরম অনিশ্চয়তার মাঝে প্রহর গুনছে।বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ গুলো বেশি সমস্যায় রয়েছে।দেশের সরকার থেকে শুরু করে দানশীল ব্যক্তিবর্গ এ পর্যন্ত নিন্মবিত্ত শ্রেনীর মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ালেও এ থেকে বঞ্চিত মধ্যবিত্ত শ্রেনীর লোকজন।তারা চক্ষু লজ্জার ভয়ে কারো কাছ থেকে কোন অনুদান না নিলেও চরম দূর্দশার মাঝে দিনাতিপাত করছে। জনতার এ ক্লান্তিলগ্নে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহন করেছেন।তিনি চাঁদপুর জেলা ভিক্ষুক মুক্ত ফান্ড থেকে শহরের চিহৃমূল মানুষের জন্য চাঁদপুর শহরের অভিজাত তিনটি হোটেল রিজার্ভ করে দিয়েছেন।জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচ তলায় চালু করেছেন কমমূল্যের “সততা স্টোর”। সর্বশেষ “ত্রান যাবে বাড়ি” নামের এক অভিনব উদ্যোগ।এ সেবার জন্য নিয়োজিত রয়েছেন মোটরসাইকেল নিয়ে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবক, চালু করেছেন ২ টি মোবাইল নং সংবলিত হটলাইনের। যার ত্রানের প্রয়োজন হবে তিনি উক্ত নাম্বারে কল দিলে সেচ্ছাসেবকগন প্রাপ্ত ঠিকানা অনুযায়ী পন্য পৌঁছে দেন।চাঁদপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে চলমান লকডাউনে জনগন যাতে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হয় কিংবা হোম কোয়ারান্টাইন পালনে অসুবিধে না হয় তার জন্য এ সেবার ব্যবস্হা করা হয়।সকাল ৮ ঘটিকা হতে বিকেল ৪ ঘটিকা পর্যন্ত এ সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এতে নিন্মবিত্তের মানুষ গুলো যারপরনাই খুশি। এবং তারা জেলা প্রশাসন চাঁদপুরের এমন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।